মুম্বই: পেশাসূত্রে বিখ্যাত বলেই কি, তাঁদের নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করা যায়? আগেও বেশ কয়েক বার এই প্রশ্নে সরব হয়েছেন বলিউড তারকারা। এবার সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হলেন অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। তাঁর অভিযোগ, যেখানে সেখানে তাঁর ছবি বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছেমতো বিকৃতও করা হচ্ছে ছবি। এমনকি তাঁর কণ্ঠস্বরেরও অপব্যবহার হচ্ছে। নিজের ব্যক্তিত্ব এবং প্রচারের অধিকার রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। (Bollywood News)

Continues below advertisement

প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্যা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালতে ব্যক্তিত্ব ও প্রচারের অধিকার সুরক্ষিত রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। বেআইনি ভাবে, অনুমতি ছাড়া তাঁর নাম, ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তাঁর ছবিও কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে AI-এর সাহায্য়ে ‘পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট’ তৈরি নিয়েও আদালতের কাছে সুরক্ষা চেয়েছেন ঐশ্বর্যা। (Aishwarya Rai Bachchan)

আদালতে ঐশ্বর্যার হয়ে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী সন্দীপ সেঠী। তিনি জানান, ঐশ্বর্যার মুখ বসিয়ে ভুয়ো, অশালীন ছবি ছড়ানো হচ্ছে ইন্টারনেটে। তাঁর অজস্র ভুয়ো, অশালীন ছবি, যার মধ্যে বিকিনি পরিয়ে বানানো কুুরুচিকর ছবিও রয়েছে, সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। 

Continues below advertisement

ঐশ্বর্যার আইনজীবী জানান, সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে, বাণিজ্যিক স্বার্থে নায়িকার নাম, ছবি, ভিডিও, কণ্ঠস্বর ব্যবহার করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। এতে নায়িকার ব্যক্তিত্ব রক্ষার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে পদে পদে। পর্নোগ্রাফিক ভিডিও-তেও ঐশ্বর্যার ছবি বিকৃত করে ব্যবহার করা হচ্ছে। ঐশ্বর্যার আইনজীবী আদালতে বলেন, “ওঁর নাম, ছবি অন্য কারও যৌনচাহিদা পূরণে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

ঐশ্বর্যার এই আবেদনটি আগামী ৭ নভেম্বরের জন্য জয়েন্ট রেজিস্ট্রারের কাছে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি ফের শুনানি হবে আদালতে। তবে বিচারপতি তেজস কারিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, ঐশ্বর্যার ব্যক্তিত্বের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এমন URL-গুলি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। পৃথক ভাবে ইনজাংশন জারি করা হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।

ব্যক্তিত্ব রক্ষার আবেদন জানিয়ে এই প্রথম কোনও তারকা আদালতে গেলেন না। এর আগে, অভইবেতা জ্যাকি শ্রফও আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। সেই মর্মে গত বছর মে মাসে আদালত, জ্যাকির ছবি, ভিডিও-র বাণিজ্যিক ব্যবহার, তাঁর ছবি বসানো পণ্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা বসায়। অভিনেতার অনুমতি ছাড়া এমন কিছু করা যাবে না বলে জানানো হয়। 

২০২৩ সালে অভিনেতা অনিল কপূরের নাম, ছবি, কণ্ঠস্বর এবং তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অন্য সব কিছু, এমনকি বিখ্যাত ‘ঝকাস’ সংলাপের বাণিজ্যিক ব্যবহারেও লাগাম টানে আদালত। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনকেও সেই মর্মে নিরাপত্তা প্রদান করে আদালত।