নয়াদিল্লি: দিল্লির দুর্ঘটনায় মৃত অঞ্জলি সিংহের (Anjali Sing) পরিবারকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এল শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) 'মীর ফাউন্ডেশন' (Meer Foundation)। বলিউড তারকার সমাজসেবী সংস্থা অঞ্জলির মায়ের দিকে হাত বাড়িয়েছে সাহায্যের।


অঞ্জলির পরিবারকে সাহায্য 'মীর ফাউন্ডেশন'-এর


মীর ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী, 'শাহরুখ খানের মীর ফাউন্ডেশন অঞ্জলি সিংহের পরিবারের হাতে তুলে দিল অপ্রকাশিত পরিমাণ অর্থ। ২০ বছর বয়সী অঞ্জলি, দিল্লির কাঞ্ঝাওয়ালায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে। মা ও ভাইবোনের সংসারে অঞ্জলিই একমাত্র রোজগেরে ছিল। মীর ফাউন্ডেশনের এই সাহায্যের লক্ষ্য অঞ্জলির ভাইবোনদের পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পরিবারকে, বিশেষ করে তাঁর মায়ের স্বাস্থ্য সমস্যায় সহায়তা করা।'


'মীর ফাউন্ডেশন' একটি সমাজসেবামূলক সংস্থা যার নামকরণ করা হয় শাহরুখ খানের বাবা মীর তেজ মহম্মদ খানের নামে। এই সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হল পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর পাশে থাকা এবং নারীদের সাহায্য করা। অতীতে, মীর ফাউন্ডেশন সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের সহায়তা প্রদানকারী বিভিন্ন কারণে সমর্থন ও অবদান রেখেছে।


আরও পড়ুন: Babil Khan: 'তোমার হাসিটা খুব মিস করি', বাবা ইরফান খানের জন্মদিনে আবেগঘন বাবিল


কী হয়েছিল অঞ্জলির সঙ্গে? কী দাবি বন্ধুর?


বর্ষবরণের সেই রাতের কথা ভেবে শিউরে ওঠেন নিহত তরুণীর বন্ধু। নিউ ইয়ার পার্টিতে বন্ধুর সঙ্গে স্কুটারের পিছনে তিনিও চেপেছিলেন। তার পর...মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি বললেন, 'ব্যালেনো গাড়িটি আমাদের একেবারে মুখোমুখি ধাক্কা মেরেছিল। আমি একপাশে কাত হয়ে পড়ি, ও (বন্ধু) সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।' তরুণীর দাবি, তাঁর বন্ধু যে গাড়ির নিচে চাপা পিষে যাচ্ছেন সেটা টের পেয়েছিল গাড়ির ভিতরে থাকা লোকজন। তরুণীর কথায়, 'ওরা ইচ্ছা করে গাড়িটা চালিয়ে নিয়ে গেল। ওরা জানত। গাড়ির নিচে ও তখন আর্তনাদ করছিল। এতটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম যে কিছু না বুঝতে পেরে বাড়ি ফিরে যাই।' এতেই শেষ নয়। তরুণীর দাবি, 'ওরা একবার এগোল, তার পর পিছোল। দুবার একই জিনিস করেছিল ওরা। তার পর ওকে টেনেহেঁচড়ে নিয়ে এগিয়ে গেল।' সিআরপিসির ১৬৪ নম্বর ধারায় তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে খবর। এদিনই তরুণীর অটপ্সি রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পুলিশ। তাতে মাথা, মেরুদণ্ড ও নিম্নাঙ্গে ভোঁতা কিছুর অভিঘাতই স্পষ্ট। কোনও যৌন হেনস্থার প্রমাণ পাওয়া যায়নি, বলে দাবি পুলিশের।