কলকাতা: কাটল আইনি জট। 'গঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি' (Gangubai Kathiawadi)-র ওপর কংগ্রেস নেতার করা মামলা তুলে নিল বোম্বে হাইকোর্ট। গতকাল কামাথিপুরা অঞ্চলকে নিষিদ্ধপল্লি হিসেবে দেখানোর বিরোধিতা করে বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন এক কংগ্রেস নেতা। আজ সেই মামলার শুনানি ছিল। আজ বোম্বে হাইকোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দিল। অন্যদিকে নির্মাতা এবং গঙ্গুবাইয়ের পরিবারের দ্বন্দ্ব মেটাতে এই ছবির নাম বদলে ফেলার পরামর্শ দিল হাইকোর্ট।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছিলেন, ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী, কামাথিপুরা অঞ্চলকে নিষিদ্ধপল্লি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ এ ও যে, সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত এই ছবিতে মানহানি করা হয়েছে কাঠিয়াওয়াদি সম্প্রদায়ের মানুষদেরও।
আরও পড়ুন: Alia Bhatt: 'সেটে আমায় বাংলা শিখিয়ে দেন টোটা স্যার, চূর্ণি ম্যাম', প্রশংসায় পঞ্চমুখ আলিয়া
মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই নানা বিতর্ক তৈরি হচ্ছে পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনশালীর ছবি 'গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি'-কে (Gangubai Kathiawadi) কেন্দ্র করে। কখনও নাম না করে এই ছবিকে আক্রমণ করছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। নাম না করে আলিয়া ভট্ট ও মহেশ ভট্টকে বেনজির আক্রমণ করেন তিনি। আবার কখনও ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন 'গাঙ্গুবাঈ'-এর ছেলে বাবুজি রাওজি শাহ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে 'গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি' ছবিকে ঘিরে ওটা নানা বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন আলিয়া ভট্ট। তিনি বলেন, 'কোনও প্রকার বিতর্কই আমাকে বিব্রত করতে পারে না। এমন সমস্ত ঘটনা ঘটেই থাকে। এগুলো খুবই স্বাভাবিক। ছবি ভালো হোক কিংবা খারাপ, কিছু মানুষ বিতর্কিত মন্তব্য করতে পছন্দ করে। আবার কিছু মানুষ এসব নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি করতে ভালোবাসে। এগুলো ছবিকে আরও মানুষের কৌতুহলের দরজায় পৌঁছে দেয়। এগুলো কোনও ব্যাপার নয়।'
আলিয়া ভট্ট আরও বলেন, 'ছবি ভালো নাকি খারাপ, সে সিদ্ধান্ত তো দর্শক নেবেন। আগে তাঁরা ছবিটা দেখুন, তা দেখার পর তো দর্শক নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। কোনও কিছুই ছবির ভাগ্য বদলে দিতে পারে না। দর্শকেরাই আমাদের কাছে সব। তাঁদের সিদ্ধান্তই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।'