মুম্বই: ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবির সেন্সরশিপ বিতর্ক নিয়ে আজ বম্বে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানি শেষ। সোমবার এই মামলার রায়দান।

ছবিতে ৮৯টি দৃশ্য ছেঁটে ফেলা ও ছবির নাম থেকে ‘পঞ্জাব’ শব্দটি বাদ দিতে হবে, সেন্সর বোর্ডের এমন নির্দেশ ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। ছবির অন্যতম প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপ বুধবার আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই মামলারই আজ শুনানি ছিল। আদালতে বিচারপতি সেন্সর বোর্ডকে সরাসরি প্রশ্ন করে জানতে চান, ছবির নামের সঙ্গে কীভাবে রাজ্যকে জুড়ছেন তাঁরা। আদালতে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, সিনেমা অত্যন্ত কার্যকরী মাধ্যম। প্রত্যেকের নিজস্ব পছন্দ আছে। টিভি হোক বা সিনেমা, মানুষকে দেখতে দিন। বর্তমান প্রজন্ম অনেক বুদ্ধিমান, তাঁরা পরিণত কিছু দেখতে চায়, সত্যিটাকে আড়াল না করে তাঁদের দেখতে দিন। মামলার শুনানিতে মন্তব্য বম্বে হাইকোর্টের। বিচারপতি বলেন, সেন্সর বোর্ডের কাজ ছাড়পত্র দেওয়া, কাঁচি চালানো নয়।

এরপর বিচারপতি সেন্সর বোর্ডের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ১৯৫২ সাল থেকে সবাইকে কি সন্তুষ্ট করতে পেরেছেন? তাহলে আজ কেন এই বাড়াবাড়ি।

সেন্সর বোর্ড প্রধান ছবি থেকে বিধায়ক, মন্ত্রী, নির্বাচন, সংসদ এই শব্দগুলো ছেঁটে ফেলার নির্দেশ দেন।এছাড়াও পঞ্জাবের পটভূমিও ছবি থেকে মুছে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন পহেলাজ নিহালেনি। এরপরই সারা বলিউড কার্যত একজোট হয়ে 'উড়তা পঞ্জাবে'র পরিচালক-প্রযোজকদের সমর্থনে গলা ফাটাতে শুরু করে। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। কংগ্রেস-আম আদমি পার্টি একযোগে আক্রমণ করে পঞ্জাবের শাসক দল, বিজেপি-র সহযোগী অকালি দলকে।

তবে সেন্সর বোর্ডে নির্দেশ মেনে শুধু একটা দৃশ্যই কাটতে রাজি হয়েছে 'উড়তা পঞ্জাবে'র নির্মাতারা। একটি দৃশ্যে শাহিদ কপূর প্রকাশ্যে মূত্র ত্যাগ করছিলেন। সেই দৃশ্যটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে সমস্ত দৃশ্য ও শব্দকে অশালীন অ্যাখা দিয়ে মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা মানতে নারাজ তাঁরা।