গত ৯ অক্টোবর রিলিজ হওয়া বিজ্ঞাপনটিতে দেখানো হয়েছে, এক মুসলিম পরিবার তাদের সন্তানসম্ভবা হিন্দু পুত্রবধূর প্রথামাফিক বেবি শাওয়ারের তোড়জোড় করছে। কিন্তু অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ওই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুয়েলারি ব্র্যান্ডটি ‘লাভ জিহাদ’, ‘মেকি ধর্মনিরপেক্ষতা’র প্রচার করছে। এহেন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জেরে বিজ্ঞাপনের ইউটিউব লিঙ্কটি প্রাইভেট করে দেওয়া হয়। গোটা ব্যাপারে তানিস্কের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মুসলিম যুবকরা প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে হিন্দু মেয়েদের প্রথমে বিয়ে, পরে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করছে, এই অভিযোগ তোলা হয়ে থাকে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দবন্ধের মাধ্যমে।
৪৫ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনটিতে মুসলিম পরিবারটিকে যে হিন্দু পুত্রবধূর বেবি শাওয়ারের আয়োজন করতে দেখা যাচ্ছে, তিনি দক্ষিণ ভারতীয় বলে মনে হয়। দক্ষিণে প্রথাটির নাম সীমান্তম বা ভালাইকপ্পু। তাতে প্রথম মা হতে চলা মহিলাকে সোনার গহনা, খাবার দেওয়া হয়। কখনও কখনও তার হাতে, মুখে লেপে দেওয়া হয় চন্দন। তার জীবন যাতে সুখে, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে, তিনি সুস্থ শরীরে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন, সেই আশীর্বাদ করা হয় তাকে। অন্ধপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, তেলঙ্গানায় চল আছে এই রীতির।
ইউটিউবে বিজ্ঞাপনের ভিডিওতে বলা হয়, মেয়েটির এমন পরিবারে বিয়ে হয়েছে যারা তাকে নিজেদের মেয়ের মতোই ভালবাসে। শুধু তার জন্যই নিজেদের প্রথা ভেঙে তারা এমন অনুষ্ঠান করল যা সাধারণতঃ তারা করে না। দুটি ভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের অসাধারণ মিলন ঘটল। কিন্তু ইউটিউবেও সেটি লাইকের চেয়ে বেশি ডিসলাইক পায়।
এই প্রথম নয়, অতীতে সার্ফ এক্সেলের একটি বিজ্ঞাপনেও প্রবল আপত্তি উঠেছিল তাতে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির ছবি দেখানোয়। বিজ্ঞাপনটি ‘হিন্দু-ফোবিক’, ‘লাভ জিহাদ’ প্রচার করছে বলে দাবি করে সমালোচকরা।