প্রসঙ্গত, ব্র্যাডের নেশা করার স্বভাবের জন্যেই ব্র্যাঞ্জেলিনার সম্পর্ক একসময় বিষিয়ে ওঠে। তারপর ছেলে ম্যাডক্সের সঙ্গে ব্র্যাডের ইওরোপ সফর থেকে ফেরার সময় কিছু কথা কাটাকাটি হয়। এমনকি সেই কথা কাটাকাটি মারধর পর্যন্ত গড়ায়। এরপরই অ্যাঞ্জেলিনা সিদ্ধান্ত নেন বিচ্ছেদের।
জানুয়ারিতে হলিউডের এই জুটি একজন ব্যক্তিগত বিচারক নিয়োগ করেন, তাঁদের বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্যে। সেইসময় ব্র্যাডের ওপর থেকে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন জোলি।
তবে সমস্ত অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিলেও, নিজের মন থেকে ব্র্যাডকে ছেঁটে ফেলতে পারেননি জোলি। ছয় সন্তানকে নিয়ে নিজেদের প্রাসাদের মতো বাড়ি থেকে অ্যাঞ্জেলিনা বেরিয়ে আসতে পারলেও, ব্র্যাডকে মন থেকে বের করতে পারেননি তিনি। এদিকে ব্র্যাডও জোলিকে ফিরে পেতে ছিলেন মরিয়া। অবশেষে দুজনেই সমঝোতার কথা ভাবছেন। সূত্রের খবর, বিবাহবিচ্ছেদ প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে দুপক্ষই এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও উদ্যোগ নেননি। এদিকে ব্র্যাড মদ্যপান ছেড়ে দেওয়ায়, সম্পর্কটাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিতে হয়তো মনে মনে কিছুটা প্রস্তুত অ্যাঞ্জেলিনা।