নয়াদিল্লি: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউড নিয়ে এখন দেশজুড়ে চর্চার বিষয় একটাই। সেটা হল স্বজনপোষণ। বলিউডের নায়ক-নায়িকা বা পরিচালক-প্রযোজকদের সন্তান ও ঘনিষ্ঠরা যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেটা অন্য ক্ষেত্র থেকে আসা লোকজন সেরকম সুবিধা পান না। তাঁদের নানারকম অসুবিধায় পড়তে হয়। সুশান্তের আত্মহত্যার পিছনে এই কারণই রয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের। তবে এটা মানতে নারাজ ‘বুলবুল’, ‘লায়লা মজনু’ খ্যাত অবিনাশ তিওয়ারি। তাঁর মতে, কোন অভিনেতা বলিউডের অন্দরে ঢুকে যাবেন বা থাকবে এবং কে বাইরের লোক, সেটা ঠিক করেন দর্শকরাই।


সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবিনাশ বলেছেন,  ‘কাদের ছবি দেখবেন, সেটা ঠিক করেন দর্শকরাই। এক লক্ষেরও বেশি মানুষ অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের মধ্যে বোধহয় মাত্র একশো জন হয়তো তথাকথিত অন্দরের লোক। আমি বুঝতে পারছি না, ‘আমাদের বিরুদ্ধে ওদের’ এই লড়াইয়ের কথা বলা হচ্ছে কেন। আমরা প্রত্যেকেই কাজ করার সুযোগ পাই। দর্শকরা যখন আমাদের কাজের প্রশংসা করেন, তখন আমরা ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের লোক এবং তারকা বনে যাই। আমার যদি সন্তান হয় এবং সে অভিনয় করতে চায়, তাহলে তাহলে সে শুরুতেই সুযোগ পাবে। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের সবাই এই সুযোগটা পায়।’

ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছেড়ে দিয়ে ব্যারি জনের স্টুডিওতে যোগ দেন অবিনাশ। পরে তিনি নিউ ইয়র্ক ফিল্ম অ্যাকাডেমিতেও যোগ দেন। তিনি প্রতিভাবান অভিনেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। ৩৪ বছরের এই অভিনেতা ২০১৪ সালে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে টিভি সিরিজ ‘যুদ্ধ’-তে কাজ করেন। ‘তু হ্যায় মেরা সানডে’ ছবির মাধ্য়মে বলিউডে অভিষেক হয় অবিনাশ। তবে তিনি প্রথম লিড রোলে অভিনয় করার সুযোগ পান ‘লায়লা মজনু’ ছবিতে। এরপর তিনি কাজ করেন ‘লায়লা মজনু’-র সহকর্মী তৃপ্তি দিমরির সঙ্গে ‘বুলবুল’ ছবিতে। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর তাঁকে দেখা যাবে ‘দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন’-এর হিন্দি সংস্করণে। এঅই ছবিতে তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে পরিণীতি চোপড়াকে।

অবিনাশও অন্য ক্ষেত্র থেকে এসে বলিউডে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘বহিরাগত হিসেবে আমি একটা ছবিতে কাজ করার সুযোগ পাই। আমাকে বলা হয়, ছবিটা ভাল। কিন্তু ছবিটা হলে এক সপ্তাহও চলেনি। দর্শকরা যদি ছবিটা দেখতেন, তাহলে আমি অন্দরের লোক হয়ে যেতাম। সুবিধা পাই বা না পাই, আমাদের সবাইকেই কঠোর পরিশ্রম করতে হয় এবং অধ্যবসায় দরকার।’