মুম্বই: 'এখন মানুষ ঘরে বসে আছেন, তাই আলসেমি কাটাতে এই অতিমারী নিয়ে বিভিন্ন জিনিস পড়ছেন।একবার পরিস্থিতির উন্নতি হলে, সবার ভয় কেটে গেলে, মানুষ আবার আগের মতোই জীবনযাপন শুরু করে দেবে। বদল আনার কথা ভাববে বড়জোর মুষ্ঠিমেয় কিছু মানুষ!' বললেন অভিনেতা রণিত রায়।


করোনা আবহে লকডাউনে স্তব্ধ গোটা দেশ। একটি সাক্ষাৎকারে লকডাউন সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রণিত বলেন, 'আমি লকডাউনে কী কী শিখলাম তাই নিয়ে কাব্য করব না। এখন আমরা সবাই পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রয়েছি। সবাই নিজেদের মতো করে চেষ্টা করছি পরিস্থিতিটাকে সামলে ওঠবার। এর আগেও স্প্যানিশ ফ্লু-র মতো মহামারী দেখেছে পৃথিবী। তবে এমন মানুষ খুবই কম আছেন যারা সেই মহামারী থেকে শিক্ষা নিয়েছেন এবং নিজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন। এছাড়াও ইবোলা বা সার্সের মতো মহামারী দেখেছে সবাই। এখন মানুষ বাধ্য হয়ে ঘরে বসে আছেন। আলসেমি কাটাতে এই অতিমারী নিয়ে বিভিন্ন জিনিস পড়ছেন, খবর দেখছেন, জ্ঞান আহরণ করছেন। একবার পরিস্থিতির উন্নতি হলে সবাই বাইরে যেতে পারবে। তখন সবাই যে যার কাজে চলে যাবেন। প্রায় সবাই এই অতিমারীর থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলো ভুলে যাবে। কোভিড-১৯-এর শিক্ষা নিয়ে নিজের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনবেন মুষ্ঠিমেয় কিছু মানুষ। এতে আমায় হতাশাবাদী বলতে পারেন, কিন্তু, আমি মনে করি লকডাউনের পরেও কোনও পরিবর্তন হবে না।'

লকডাউনে বাকি সবার মতোই নিজের বাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন রণিত। বলেন, 'শ্যুটিং ছাড়া বেশীরভাগ সময়ই বাড়ি থাকা অভ্যস আমার। তাই আমার মানিয়ে নিতে তেমন অসুবিধা হচ্ছে না। তবে ছেলেমেয়েরা এখনও মানিয়ে নিয়ে পারেনি এই লকডাউনের জীবনযাত্রা।' কেবল লকডাউনে নয়, শ্যুটিং না থাকলেই রোজ বই পড়ার অভ্যাস রণিতের। বই পড়া, শরীরচর্চা করে আর ইউটিউবে বিভিন্ন সাক্ষাৎকার দেখেই সময় কাটাচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে রণিত রায় ও তিশা চোপড়া অভিনীত ওয়েব সিরিজ। আগামীকাল অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল থেকে নিয়মিত চলবে নতুন এই সিরিজ। সিরিজের গল্প মূলত ক্রাইম থ্রিলার । নিজের সিরিজ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রণিত রায় বলেন, সিরিজটি রহস্য রোমাঞ্চে মোড়া। গল্পে রয়েছে অনেক আকর্ষণীয় মোড়। তাই দর্শকদের কাছ থেকে ভালোই সাড়া পাওয়ার আশা রাখছেন রণিত।