জয়পুর: সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবি পদ্মাবতী পর্যালোচনার জন্য রাজস্থানের দুই অধ্যাপককে ডাকল সেন্সর বোর্ড। এই দুই অধ্যাপক হলেন জয়পুরের অগ্রবাল কলেজের অধ্যক্ষ আর এস খাংগারোট ও রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বি এল গুপ্ত।


বর্তমানে দুবাইয়ে থাকা খাংগারোট বলেছেন, ‘আমাকে জোশী (সেন্সর বোর্ডের প্রধান প্রসূন জোশী) ফোন করেছিলেন। ইতিহাসবিদদের নিয়ে যে প্যানেল তৈরি হচ্ছে, তাতে যোগ দিয়ে ছবিটির বিষয়ে আমার মতামত জানাতে বলেছেন তিনি। আমি বলেছি, আগামী সপ্তাহে ছবিটি পর্যালোচনা করতে পারব। আমি এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত আমন্ত্রণ পাইনি। আমাকে মৌখিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

খাংগারোট আরও বলেছেন, ‘আমার কাছে এটা বনশালি বনাম রাজপুত সম্প্রদায় বা বনশালি বনাম করণি সেনার বিষয় নয়। আমি এটাকে একজন চলচ্চিত্র পরিচালকের সঙ্গে ইতিহাসের সংঘাত হিসেবেই দেখছি। আমি সেভাবেই ছবিটার পর্যালোচনা করব।’

গুপ্ত বলেছেন, ‘আমি ছবিটা দেখেই এ বিষয়ে মতামত দিতে পারব। ছবিটা দেখার পরেই বলতে পারব ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে কি না। আমার জ্ঞান অনুযায়ী ঐতিহাসিক তথ্যের বিচার করব।’

সংসদীয় প্যানেলকে বনশালি জানিয়েছেন, ষোড়শ শতকের সাহিত্যিক মালিক মহম্মদ জয়সীর মহাকাব্য ‘পদ্মাবত’-এর ভিত্তিতেই তিনি এই ছবি তৈরি করেছেন। তবে ছবিটি এখনও সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়নি। পদ্মাবতী নামে আদৌ কেউ ছিলেন কি না, সে বিষয়ে ইতিহাসবিদরা দ্বিমত।