কলকাতা: বাবার প্রয়াণে মনটা বড়ই খারাপ অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর (Chanchal Chowdhury)। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে উঠে আসছে মন খারাপের নানা কথা। যা পড়ে চোখের জল বাঁধ মানছে না নেটিজেনদের। তাঁর বাবা প্রয়াত হয়েছেন বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একাধিকবার তুলে ধরেছেন বাবার কথা। তিনি কতটা শোকাহত, তা বোঝা যাচ্ছে তাঁর লেখাগুলি দেখেই।


বাবাকে নিয়ে চঞ্চল চৌধুরীর পোস্ট-


এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে বাবাকে নিয়ে ফের আবেগপ্রবণ হতে দেখা গেল চঞ্চল চৌধুরীকে। তিনি লিখেছেন, 'ডাক্তারদের হিসেব মত যে কোন সময় চলে যাওয়ার কথা বললেও, বাবা ১৫ দিন লাইফ সাপোর্টে বেঁচে ছিলেন। সন্তান বা আত্মীয় পরিজন হিসেবে চোখের সামনে এই কষ্ট দেখা যায়না। একটা সময় প্রার্থনা করেছি বাবার জ্ঞান ফিরে আসুক, সুস্থ্য হয়ে যাক, বিনিময়ে আমরা সব কিছু করতে প্রস্তুত। ঠিক সেই আমরাই শেষের দিকে এসে, বাবার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রার্থনা করেছি, বিশ্বাস করেছি, একমাত্র মৃত্যুই বাবাকে এই অসহ্য যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতে পারে।'


আরও পড়ুন - Hrithik Roshan: তারকা হওয়া বড় দায় এবং অস্বাস্থ্যকর! কেন এমন বললেন হৃত্বিক রোশন?


তিনি আরও লিখছেন, '২৭ ডিসেম্বর সকাল থেকেই আমরা বুঝতে পারছিলাম,বাবাকে আর ধরে রাখতে পারবো না। ঠিক রাত ৮টার দিকে ডিউটি ডক্টর কেবিনে ফোন করে জানালেন, বাবার হার্ট বিট একদম নেমে যাচ্ছে…. সাথে সাথে আমরা দৌড়ে গেলাম আই সি ইউ তে। সত্যিই…… বাবার শরীরটা স্তব্ধ হয়ে গেছে। না ফেরার দেশে চলে গেল আমাদের বাবা। ১২ ডিসেম্বর অচেতন অবস্থায় ভর্তি হয়ে, ২৭ ডিসেম্বর ঐ অবস্থাতেই বাবা চিরবিদায় নিলেন। এই কদিন অন্তত: আই সি ইউ তে বাবার বেডের সামনে দাড়িয়ে বাবার শ্বাস প্রশ্বাস চলছে কিনা দেখতাম,প্রাণটা আছে এই শান্ত্বনা নিয়ে ভেজা চোখে ফিরে আসতাম। মনিটরে তাকিয়ে যখন দেখলাম বাবার জীবনটা থেমে গেছে, কিছু সময়ের জন্য আমি কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না, দেখতে পাচ্ছিলাম না। তারপর সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পালা….. অ্যাকাউন্টস, বিল, ডেড বডি, ফ্রিজার ভ্যান…… ডেথ সার্টিফিকেট…… আমার বাবা জীবন্ত মানুষ থেকে ডেথ সার্টিফিকেট হয়ে গেল। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল বার বার…. বার বার মন খুলে কাঁদতে চেষ্টা করছিলাম….পারছিলাম না, যদি কেউ দেখে ফেলে, ছবি তোলে। বাবার ডেড বডিটা যখন হাসপাতালের লিফ্ট দিয়ে নামানো হচ্ছিল….ফ্রিজার ভ্যানে তোলা হচ্ছিল সাদা কাপড়ে মোড়ানো বাবার নিথর শরীর, তখন খুব করে মনে করার চেষ্টা করছিলাম, বাবার সাথে আমার শেষ কি কথা হয়েছিল!! ভাবতেই তো পারিনি বাবা চলে যাবে, তাই বাবার সাথে আমার কোন শেষ কথা হয়নি।' (অপরিবর্তিত)


প্রসঙ্গত, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী দিন কয়েক আগেই বাবাকে নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি বাবার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে প্রয়াণের খবর জানিয়ে আবেগপ্রবণ বার্তা দেন।