কলকাতা: ছুটির দিন সকালে করা অভিনেতা ট্যুইট ঘিরে চাপানউতোর, তরজা চলল দিনভর। কেবল সেই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে থাকা প্রযোজক বা পরিচালকই নন, মুখ খুললেন অন্য় প্রযোজকেরাও! দিনভর টলিউডে চলল 'চিনেবাদাম' তরজা।
ঘটনাটা ঠিক কী? সকালে ট্যুইটারে একটি বিবৃতি দিয়ে যশ দাশগুপ্ত (Yash Dashgupta) জানান, প্রযোজনা সংস্থা 'জারেক এন্টারটেনমেন্ট' ও পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে মতবিরোধের কারণে নিজেকে 'চিনে বাদাম' প্রজেক্ট থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। তিনি লেখেন, 'আমি এই ছবির সঙ্গে কোনওভাবে নিজেকে জড়িত রাখতে চাই না। যদিও ছবির শ্যুটিংয়ে ও পোস্ট প্রোডাকশনে নিজের সবটা দিয়ে কাজ করেছি এবং সেটা সম্পূর্ণ বৃথা যাক চাইব না। নির্মাতাদের জন্য শুভেচ্ছা।'
এই ট্যুইট দেখে কার্যত আকাশ থেকে পড়েন ছবির নায়িকা ও প্রযোজক এনা সাহা (Ena Saha) ও পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক (Shiladitya Maullick)। এবিপি লাইভের তরফ থেকে এনাকে ফোন করা হলে তাঁর গলায় স্পষ্ট বিস্ময় আর মনখারাপ। এনা বলছেন, 'বাকি সবাই যেখানে, আমিও ঠিক সেখানে। গতকাল আমাদের চিনে বাদাম ছবির টাইটেল ট্যাকটা মুক্তি পেয়েছিল। রাতে যশ মেসেজে আমায় লিখল, 'টাইটেল ট্র্যাকটা খুব খারাপ হয়েছে। বেস্ট অফ লাক টু ইউ অ্যান্ড ইওর টিম।' এরপর আমি কারণ জানতে চাইলেও ও আর কোনও উত্তর দেয়নি। তারপরে সকালে এই ট্যুইট।'
এরপর রাতে যশের সকালের করা ট্যুইটটি রিট্যুইট করেন ইন্ডাস্ট্রির আরেক প্রথম সারির প্রযোজক রানা সরকার (Rana Sarkar)। বিস্ফোরক বক্তব্যে তিনি লেখেন, 'টাকা পেয়ে গেছি আর কি চাই, এবার প্রোডিউসার মরুক'। সেই সঙ্গে এনার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন রানা। শেষে এনার প্রযোজনা সংস্থাকে লেখেন, 'ওদের নিয়ে রিলিজ করলে যা হত, ওদের ছাড়া রিলিজ করলেও একই হবে।'
ফেসবুকে তিনি লেখেন, 'যশ বলতে আমি শুধু কেজিএফ বুঝি।' টলিউডের যশকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একরকম অস্বীকারই করেছেন রানা। যশের ওপর এত রাগ হয়েছে তাঁর? এবিপি লাইভ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে রানা জানান, প্রযোজকদের সঙ্গে যে সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীরা এমন ব্যবহার করেন তাঁদের সবার ওপরেই তিনি ক্ষুব্ধ। এঁদের ছবি না চললেও এঁদের অনেক দাবিদাওয়া থাকে। প্রযোজকের টাকার কী দাম নেই।
প্রসঙ্গত রানা বলেন, তিনি মাত্র একবারই যশের সঙ্গে কাজ করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত পারিশ্রমিক চাওয়ায় সেই কাজ করেননি রানা। আগামীদিনে তাঁর সঙ্গে কাজ করাও কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর।