কলকাতা: এবারের ভ্যালেন্টাইনস ডে খুব গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের কাছে। ২ বছরের প্রেম পরিণতি পাবে, বাঁধবে বিবাহ বন্ধনে। সারাদিন ধরে তাই তোড়জোড়ে ব্যস্ত ছোটপর্দার হিট জুটি রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় আর প্রমিতা চক্রবর্তী। কিন্তু ব্যস্ততার মধ্যেও প্রেমের সপ্তাহের প্রত্যেকটা দিন চুটিয়ে উপভোগ করছেন তাঁরা। রোজই উপহার আসছে প্রমিতার কাছে। আজ চকোলেট ডেতেও কী করবেন ‘রুমিতা’ জুটি? এবিপি আনন্দের সঙ্গে গল্প জুড়লেন রুদ্রজিতের হবু ঘরণী।



প্রেমদিবসে আইনি বিয়ে সারবেন রুদ্রজিৎ-প্রমিতা। তবে কলকাতায় নয়, পুরুলিয়ায় বসছে তাঁদের বাগদানের আসর। ১৩ তারিখই কাছের আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে পুরুলিয়া পাড়ি দেবেন তাঁরা। কিন্তু আপাতত প্রেমের সপ্তাহের প্রতিটা দিন উপভোগ করছেন প্রমিতা। বললেন, ‘অনেকে ভ্যালেন্টাইনস উইকটাকে তেমন বিশেষভাবে উপভোগ করেন না। তবে আমার কিন্তু প্রত্যেকটা দিন উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগে। মনে হয় এইতো খুশির উপলক্ষ্য। তবে এক আগে কখনওই এমন রোজ ডে বা প্রপোজ ডে আলাদা আলাদা করে পালন করিনি। গতবছর ভ্যালেন্টাইনস ডে তে আমরা ডিনারে গিয়েছিলাম কেবল।’ আর এইবার? প্রমিতা উচ্ছসিত হয়ে বললেন, ‘ আমায় অবাক করে দিয়ে রুদ্রজিৎ এবার প্রত্যেকটা দিন আমায় সারপ্রাইজ দিচ্ছে। বাড়ির দরজা খুলে দেখছি উপহার এসেছে, গোলাপ! এক্কেবারে সিনেমার মত।’


 



রোজ ডে তে প্রমিতার জন্য লাল গোলাপ পাঠিয়েছিলেন রুদ্রজিৎ


 


সামনেই বিয়ে, বোধহয় তাই আপাতত মেপে খাওয়া ছেড়েছেন প্রমিতা। কিন্তু কড়া ডায়েটেও একটা জিনিসে ছাড় ছিল তাঁর, চকোলেট। প্রমিতা বলছেন, ‘আমি যখন রুদ্রজিৎ-এর সঙ্গে প্রেম করি তখন কড়া ডায়েটে ছিলাম। কিন্তু রুদ্রজিৎ চকোলেট আনলে কখনও ফেরাইনি। সারাবছরই আমায় চকোলেট দেয় রুদ্রজিৎ। আজ চকোলেট ডে না?  তাহলে আজকেও জন্যও নিশ্চয়ই কিছু পরিকল্পনা রয়েছে ওর।’ সেকী! দিন ভুলে যাচ্ছেন প্রমিতা!তাহলে কী রুদ্রজিতের জন্য কোনও পরিকল্পনা নেই? প্রমিতা হাসতে হাসতে বললেন, ‘ এবার আমি ওকে বলে দিয়েছি, সমস্ত সারপ্রাইজ দেওয়ার দায়িত্ব তোমার। আমি আর কোনও উপহার দেব না। এত ভালো একটা বউ পাচ্ছো, এটা কী উপহারের থেকে কিছু কম নাকি!’


 



 রুদ্রজিতের বানানো বিশেষ গোলাপ


কথা রেখেছেন রুদ্রজিৎ। রোড ডে, প্রপোজ ডে তে বিশেষ কিছু না কিছু করেছেন হবু স্ত্রীর জন্য। ‘আগেভাগেই বলে রেখেছে, ভ্যালেন্টাইনস ডের জন্য তোলা আছে একটা বড় সারপ্রাইজ। আমি ভীষণভাবে অপেক্ষা করছি সেটার জন্য।’



রুদ্রজিতের রান্নাও প্রমিতার অন্যতম ভালোবাসা। বললেন, ‘ও খুব ভালো মাংস রান্না করে। আর বিরিয়ানি। শ্যুটিং সেটে ওর হাতের বিরিয়ানি খেয়ে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’ কখনও চকোলেট বানিয়েছেন রুদ্রজিৎ? ‘উঁহু, সাধারণত চকোলেট কিনেই দেয় ও। বানাতে বলার কথা তো কখনও মাথায় আসেনি। দাঁড়ান এবার বলব। দেখি পারে কি না!’ দুষ্টুমির হাসি প্রমিতার।