ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা: ভোটের মুখে গায়কের ভূমিকায় নেতারা। দলত্যাগীদের নিশানা করে মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করলেন মদন মিত্র। কাজ নেই, তাই এসব করছে বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির।
গান বাঁধলেন মদন মিত্র। হাতে কুমড়ো। গলায় গান। ভোটের আগে দলবদলের মরসুমে মদন মিত্রের মিউজিক ভিডিও বার্তা। “কুমড়োগুলো ফুলো ফুলো, অনেক দামে বিক্রি হল”। দলবদলকারীদের এইভাবেই কটাক্ষ করলেন তিনি।
কেন এই গান? তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের কথায়, ভিতরটা গেরুয়া, বাইরে সবুজ। অনেক দামে বিক্রি হয়েছে। আমাদের থেকে ওখানে গেছে। তাঁর কথায়, মোদি, অমিত শাহ কুমড়োর ঘ্যাট খা। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। এই বিষেয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কাজ নেই, তাই এসব করছেন।
ভোটের মুখে জনসংযোগে নাচে-গানে মেতে উঠেছেন রাজনীতিকরা। হাওড়ার বাগনানে গণবিবাহের অনুষ্ঠানে গান গাইলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে মতুয়াদের তালে নাচে মাতলেন তৃণমূল বিধায়ক ধীমান রায়। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই নাচের ভিডিও। শুধু তাই নয়, চলতি মাসেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তারপরই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। আর তা নিয়েই প্রস্তুতির খামতি রাখতে চাইছে না কোনও শিবির। কখনও মতুয়া, আদিবাসী বা কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ, কখনও আবার জনসংযোগের হাতিয়ার গণবিবাহের আসর। ভোটের মুখে জনগণের দরবারে পয়েন্ট বাড়াতে মরিয়া শাসক-বিরোধী দুপক্ষই। শাসক-বিরোধীর নাচ-গান নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের দাবি, তাদের অনুকরণ করছে বিজেপি।