চেন্নাই: পুরনো সতীর্থ কমল হাসান যত্ন করে গড়ে তুলছেন নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার। কিন্তু রজনীকান্তের দোলাচল এখনও কাটেনি। বরং কমলের প্রতি হালকা বক্রোক্তি ছুঁড়ে দিয়ে তাঁর মন্তব্য, রাজনীতিতে সাফল্য পেতে হলে সেলিব্রিটি হওয়া ছাড়াও আরও কিছু থাকতে হবে।


উদাহরণ হিসেবে রজনী তুলে ধরেছেন দক্ষিণী ছবির কিংবদন্তী নায়ক শিবাজি গণেশনের কথা। রজনী নিজে অবশ্য সাবধানী। আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও রাজনীতির ময়দানে তিনি মুখ থুবড়ে পড়েন। আদিয়ার নদীর ধারে শিবাজি গণেশনেরই একটি স্মারক উন্মোচনে এসে তিনি বলেন, শিবাজি শুধু সিনেমা নন, রাজনীতির ক্ষেত্রেও উদাহরণ হয়ে থাকবেন। তিনি নিজস্ব রাজনৈতিক দল শুরু করেছিলেন, তারপর ভোটে হেরে যান, এমনকী নিজের আসন থেকেও। এটা তাঁর অপমান নয়, তাঁর কেন্দ্রের মানুষের অপমান। অতএব বোঝা যাচ্ছে, সিনেমা থেকে অর্জিত খ্যাতি ও প্রতিপত্তি রাজনীতিতে সাফল্য পেতে যথেষ্ট নয়। আরও বেশি কিছু থাকতে হবে।

রজনীর পাশেই তখন বসে কমল হাসান স্বয়ং।

কমলকে সরাসরি বক্তব্যে টেনে এনে রজনীকান্ত বলেন, রাজনীতিতে সাফল্য পাওয়ার সূত্র নিয়ে আমি কিছু জানি না। তবে কমল বোধহয় জানে। আর যদি ও জেনেও থাকে, আমাকে নিশ্চয়ই বলবে না। হয়তো মাসদুয়েক আগে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলত। যদি বলতাম, তুমি আমার থেকে সিনেমা জগতে আগে এসেছ, বড় ভাইয়ের মত, আমাকে এ নিয়ে বল, ও বলত, চল আমার সঙ্গে, আমি বলছি।

যদিও কমল নিজে এদিন তাঁর রাজনীতিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে কিছু বলেননি। শিবাজি গণেশন সম্পর্কিত স্মৃতিচারণেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেন তিনি।