পুরুষোত্তম পণ্ডিত, কলকাতা: ভুট সিলেক্টে মুক্তি পেল ‘কোড এম - সিজন টু’ (Code M Season 2)। জেনিফার উইঙ্গেট (Jennifer Winget), তনুজ ভিরওয়ানি, স্বানন্দ কিরকিরে অভিনীত এই সিরিজের কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে সেনা বাহিনীর দুর্নীতি।


‘কোড এম - সিজন টু’ গল্পের প্রেক্ষাপট-


ভুট সিলেক্টে মুক্তি পেল ‘কোড এম - সিজন টু’। জেনিফার উইঙ্গেট, তনুজ ভিরওয়ানি, স্বানন্দ কিরকিরে অভিনীত এই সিরিজের কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে সেনা বাহিনীর দুর্নীতি। গল্পে দেখা যায়, কার্গিল দিবসে মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের চক্রান্ত রুখে দিলেও মেজর মণিকা মেহরা আততায়ীকে ধরার আগেই সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। এরপরই শুরু হয় ধারাবাহিক খুন। আর সেই খুনগুলিকেই আপাতদৃষ্টিতে হার্ট অ্যাটাক বা সেরিব্রাল অ্যাটাক বলে মনে হয়। মেজর মেহরা তদন্তে নেমে বুঝতে পারেন যে এর শিকড় বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে। আর এই খুনগুলোর সঙ্গে যারা জড়িয়ে আছে, তারা ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সর্ষের মধ্যে ভূত নাকি দুর্নীতির ভূত তাড়াতে RX ফর্টির মত শক্তিশালী বিষ ব্যবহার করে মানুষ খুন কেন চলছে, ধাপে ধাপে তা পরিস্কার হয়। 


আরও পড়ুন - The Broken News Review: প্রথম ওয়েব সিরিজে কতটা ছাপ ফেলতে পারলেন সোনালি বেন্দ্রে? পড়ুন 'দ্য ব্রোকেন নিউজ' রিভিউ


‘কোড এম - সিজন টু’ রিভিউ- (Code M Season 2 Review)


আট এপিসোডের এই সিরিজটির টানটান চিত্রনাট্য। কুড়ি পঁচিশ মিনিট দৈর্ঘ্যের প্রতিটি এপিসোডে পরিচালক অভিষেক চৌবে দর্শক ধরে রাখতে সফল হয়েছেন। এই সিরিজের বড় প্রাপ্তি সিবিআই অফিসার ইসমাইল কুরেশির চরিত্রে স্বানন্দ কিরকিরের অভিনয়। তবে কোড-এম এর প্রথম সিজনের রজত কপূরকে দর্শক অবশ্যই সিজন টু তে মিস করবেন। আর যদি কেউ প্রথম সিজন নাও দেখে  থাকেন, তাহলেও এই সিরিজটি দ্বিতীয় সিজন বুঝতে অসুবিধে হবে না। সিরিজের শেষে তৃতীয় সিজনের জন্য কিছু প্রশ্নের উত্তর তুলে রাখলেন ক্রিয়েটর একতা কপূর ও পরিচালক অভিষেক চৌবে।