মুম্বই: ‘সাম্প্রয়দায়িক’ উস্কানি দিচ্ছেন স্বরা ভাস্কর! গাজিয়াবাদে বৃদ্ধ নিগ্রহের ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
আজ দিল্লির তিলক মার্গ থানায় আইনজীবী অমিত আচার্য স্বরা ভাস্করের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এই ঘটনায় এখনও এআইআর দায়ের করা হয়নি। এখনও পর্যন্ত কেবল লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে ঘটনার। আইনজীবীর অভিযোগ, নেটমাধ্যমে সম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী।
ঠিক কী করেছিলেন স্বরা? নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের লোনিতে শ্যুট করা। সেখানে এক বৃদ্ধকে কয়েকজন যুবকের হাতে প্রহৃত হতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হয়েছে, মুসলিম ধর্মাবলম্বী সেই বৃদ্ধ ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিতে রাজি না হওয়ার জন্যই ওইভাবে মারধর করা হয় তাঁকে।
গত ১৪ জুন এই ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আব্দুল সামাদ সৈফি নামে ওই বৃদ্ধের দাবি, কয়েকজন যুবক তাঁকে অটো করে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তাঁকে জোর করা হয় ‘জয় শ্রী রাম’ বলার জন্য করে। প্রতিবাদ করলে অত্যাচার করা হয় তাঁর ওপর।
গাজিয়াবাদের লোনির এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে গাজিয়াবাদ পুলিশ।
এই ঘটনায় কেবল স্বরা ভাস্কর নন, অভিনেত্রীর সঙ্গে সঙ্গে টুইটারের ভারতীয় শাখার প্রধান মনীশ মহেশ্বরী-সহ সাংবাদিক আরফা খানুম শেরওয়ানি ও আসিফ খানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ঘটনায় সত্যি মিথ্যে যাচাই না করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মেকে ব্যবহার করে ‘সাম্প্রয়দায়িক’ হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন স্বরা, মনীশ, আরফা খানুম শেরওয়ানি ও আসিফ খানরা। যদিও সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গোটা ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হোক। সাংবাদিকেরা যেন পুলিশের লক্ষ্য না হয়ে ওঠেন।
পুলিশ এই ঘটনায় কোনও ‘সাম্প্রয়দায়িক’ রঙ নেই বলেই দাবি করেছে। তাঁদের দাবি, ওই বৃদ্ধ একটি তাবিজ বিক্রি করেছিলেন ওই যুবকদের। সেই তাবিজে আপত্তি থাকাতেই ওই যুবকেরা বৃদ্ধের কাছে এসে বচসা শুরু করেন। সেখান থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত।