রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বহু এলাকায় ভাসল প্রবল বৃষ্টিতে।  জমা জলের জন্য নিকাশীর অব্যবস্থাকে দায়ী করে গড়িয়ার শচীন্দ্রপুরে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।  


রাতভর প্রবল বৃষ্টি ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল নিকাশী ব্যবস্থা কতটা বেহাল।  এক রাতের ভাসল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বহু এলাকা। 


গড়িয়া, বোড়াল, মহামায়াতলা, বৈকুন্ঠপুর, চন্ডীতলা সহ একাধিক এলাকা জলের তলায়। জল নামাতে পুরসভার তরফে ১৭টি পাম্প তৈরি করা হচ্ছে। প্রবল সমস্যায় এলাকাবাসী। 


কোথাও জল ঢুকল বাড়িতে। কোথাও বহুতলের নীচে জল থইথই।  কোথাও আবার বাধ্য হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে জমা জলে বিকল হয়ে পড়ে মোটরবাইক, স্কুটার।


মৌকা বুঝে অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকতে শুরু করেন রিকশা চালকরা। জল যন্ত্রণায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা শেষ অবধি রাস্তা অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।


এক স্থানীয় বাসিন্দা বললেন, একরাতের বৃষ্টিতেই ডুবে গেল এলাকা।  প্রতি বছরই এই অবস্থা হয়। পুর প্রশসানের কোনও হেলদোল নেই।  ১৫-২০ বছর ধরে এই ভোগান্তি ভুগতে হচ্ছে।


আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বললেন, সবার ঘরে জল ঢুকে গেছে। বাচ্চা নিয়ে থাকতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। অনেকের অভিযোগ, বিদায়ী কাউন্সিলার বিভাস মুখোপাধ্যায়কে বারবার জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। 


রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বক্তব্য, এদিন সকালেই মহামায়াতলা, গড়িয়া, গ্রিনপার্ক এই সব এলাকায় পাম্প বসিয়ে জল সরানোর কাজ শুরু হয়।
  
বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতেই এই হাল হলে, পরে কী হবে? ভেবে কুল পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।


এদিকে, প্রবল বর্ষণে উপচে পড়ছে দ্বারকেশ্বর নদী। আরামবাগ শহরের ২নম্বর ওয়ার্ড ও বাঁধ পাড়া এলাকায়  জল ঢুকেছে বাড়িতেও। দুর্গতদের বাড়ি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


পুরসভার পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল রাতেই বাঁধ পাড়ায় বিপজ্জনক এলাকাকে বালির বস্তা দিয়ে মেরামত করা হয়।