কলকাতা: শুটিং শুরু হয়েছে টলিপাড়ায়। মনটা বড্ড ছটফট করছে। ডাকছে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন আর শটের ফাঁকে খুনসুটির সময়গুলো। কিন্তু এখনও ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছে টলিউডের অনেক খুদে শিল্পীদের। নিয়ম, ১০ বছরের নীচে বাচ্চাদের শুটিংয়ে অনুমতি নেই। কিন্তু ১০ পেরিয়েছে স্যমন্তকের। তবু এখন করোনা-বিধি মেনে শ্যুটিং করতে হবে, সেই জন্য অনেক কাজ শুরু হয়নি। পিছিয়েছে কাজের ডেট। তাই এই মুহূর্তে বড্ড মন খারাপ টালিগঞ্জের অনেক কমবয়সী শিল্পীর।


ছোট সুভাষচন্দ্র হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি পেয়েছে ছোট্ট অঙ্কিত । এখন নতুন সিরিয়াল 'কাদম্বিনী' সিরিয়ালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছে সে। সবে দশ পেরিয়েছে অঙ্কিতের। বয়সের বেড়া টপকে গেছে, এতেই দারুণ আনন্দিত সে। লকডাউনে শুটিং-এর বন্ধুদের সঙ্গে মজা করাটা ভীষণ মিস করেছে। অনেকদিন পরে আবার শুটিং শুরু হবে দিনকয়েক পর। তাই খুব খুশি সে।  '' সাবধানেই কাজ করব, এখন হয়ত একসাথে হইহুল্লোড় হবে না, তাই শটির ফাঁকে গল্প লিখব, ছবি আঁকব'', ঠিক করে ফেলেছে অঙ্কিত।

যেমন শিশু শিল্পী স্যমন্তক।  চলছিল রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে 'হাবজি গাবজি' ছবির কাজ। কথা চলছিল একটি বাংলাদেশের ছবিতে কাজ করারও। কিন্তু এখনও সেই সব শুটিং কবে হবে, নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি।
'ফোন বাজলেই মনে হচ্ছে, এই বোধ হয় কলটাইম এল', আনন্দে লাফিয়ে উঠছি, বলল স্যমন্তক।
যদিও তাঁর অভিভাবকরা বলছেন, ছোটদের জন্য সুরক্ষাবিধির কড়াকড়ি যেন সেটে থাকে। সম্ভব হলে যেন চাইল্ড আর্টিস্টের জন্য একটা আলাদা ঘর যেন থাকে।

'ফিরকি' সিরিয়ালে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিল ছোট্ট ঈশান। সিরিয়ালে অন্যতম প্রধান চরিত্র নীলাদ্রির ভূমিকায় তার অভিনয় মন কেড়ে নিয়েছিল দর্শকের। 'কিন্তু হঠাৎ করেই যে কী সব হয়ে গেল!', মন খারাপ ছোট্ট শিল্পীর। এই মুহূর্তে ছোটদের নিয়ে শুটিং করা যাবে না। তাই 'ফিরকি' সিরিয়ালের গল্প এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বেশ কয়েক বছর। অর্থাৎ ফিরকি থেকে নীলাদ্রি, সবাই এবার বড় হয়ে যাবে। তাই এই মুহূর্তে ডাক পড়বে না ঈশানের। তাই ভয়ানক মন খারাপ তার। 'ফিরকিকে বড্ড মিস করছি, মিস করছি শটের ফাঁকে ক্রিকেট খেলাও', বলেই ফেলল ঈশান।
ঠিক একই ভাবে কলটাইম পাওয়ার অপেক্ষায় 'আলো ছায়া' সিরিয়ালের শিল্পী হিয়া। করোনা আতঙ্ক নয়, কবে আবার ডাক আসবে শ্যুটিং-এর, আপাতত এই ভাবনাতেই উদ্বেল টলিপাড়ার লিটলস্টাররা।