কলকাতা: করোনা ভ্যাকসিন নিলেন সোনু সুদ। আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে তিনি উদ্বোধন করলেন বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন প্রকল্প 'সঞ্জীবনী-এ শট অফ লাইফ'-এর। অনুরাগীদের উৎসাহও দিলেন ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড হেল্থ ডে কে অ্যাপোলো হাসপাতাল আয়োজিত 'সঞ্জীবনী-এ শট অফ লাইফ'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে নিজের বক্তব্য রাখেন সোনু । সেখানে তিনি বলেন, ‘গত বছরের এই সময়টা আমার এখনও মনে আছে । ঠিক এই সময়ই দেশ জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা দলে দলে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁদের ঘরে পৌঁছানোর আশায় । আমরা সকলকে অনুরোধ করছি, সকলে সংযত থাকুন আর সাবধানে থাকুন । এখন আমাদের কাছে করোনার ভ্যাকসিন রয়েছে । আর দেরি করবেন না, সকলে তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করুন এখনই ।’


এদিন অভিনেতা আরও আবেদন করেন, দেশকে সুরক্ষিত রাখতে, আমাদের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত । পাশাপাশি, সোনু এটাও বলেন, ‘‘সকলকে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরের ৩০ মিনিট আপনাকে কিন্তু চিকিৎসকের সামনে থাকতে হবে । যাতে কোনও রকম সমস্যা হলে সেই সময়ই ব্যবস্থা নেওয়া যায় । এর পাশাপাশি, সকলকে ভ্যাকসিন সম্বন্ধে নিজের মনের দোলাচল দূর করতে হবে । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকলের ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত ।’’


'সঞ্জীবনী-এ শট অফ লাইফ' ব্রান্ড অ্যাম্বাস্যাটর সোনু সুদ। এদিন টিকা নিয়ে অনুরাগীদের কাছে উৎসাহও দিলেন তিনি।


বলিউডে বক্স অফিসে ছবির ব্যবসা দিয়েই মাপা হয় তারকাদের যশ, খ্যাতি। কিন্তু কেবল অভিনয়, গ্ল্যামার বা পেশাদারি সাফল্য নয়, মানবিকতা দিয়েও যে অনায়াসে মন জয় করা যায় তা শেখালেন সোনু সুদ। আসমুদ্র হিমাচল যাঁকে চেনে ‘দাবাং’-এর ছেদী সিং’ হিসাবে। তাঁর নিষ্ঠুর চাহনি, পেশিবহুল চেহারা আর খুনে মেজাজ দর্শকদের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বইয়ে দেয়। করোনা আবহে অবশ্য উলটপুরাণ হয়েছে। পর্দার খলনায়ক সোনু এখন জনতার চোখে ‘মসিহা’। লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরাতে তাঁর মহৎ উদ্যোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিজে রাস্তায় নেমে শ্রমিকদের ফেরার ব্যবস্থা করেছেন। হাতে তুলে দিয়েছেন খাবারের প্যাকেট, জল।


এসডিজি স্পেশাল হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ডও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে অভিনেতাকে। শুধু তাই নয়, গত মাসে উত্তরাখণ্ডে বাবা হারানো চার সন্তানের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন।