মুম্বই: ক্যানসারের কাছে হার মানলেন কথক ও কথাকলি খ্যাত আসতাদ দাবু। পশ্চিমী নাচের ঘরানার ভারতীয়করণ ঘটিয়ে নৃত্যশিল্পী আসতাদ খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন দেশজোড়া। বিদেশের মাটিতেও তিনি ছিলেন একইরকম প্রসিদ্ধ। কিন্তু গতমাসে ক্যানসারের হানার পর আজ ৭৩ বছর বয়সী আসতাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়েছে, অসুস্থতার সঙ্গে ওঁর সাহসী লড়াই আজ ১০ ডিসেম্বর থেমে গেল। প্রবল এক নৃত্য ঐতিহ্য ও অবিস্মরণীয় একাধিক নৃত্য অনুষ্ঠান রেখে গেল আসতাদ। নৃত্যের প্রতি তাঁর টান ও নতুন কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে ছিল বরাবরের। আর সুমধুর ব্যবহারের সৌজন্যে চলার পথে হাজারো বন্ধু, অনুগামী তৈরি করেছিল আসতাদ।

কোভিডের জেরে একেবারে ব্যক্তিগত পরিসরের মধ্যে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে আসতাদের। একসময় আসতাদের নাচকে অতিরিক্ত পশ্চিমী নৃত্যভঙ্গি প্রভাবিত বলে তকমা দেওয়া হয়েছিল। যার জেরে নিজের নৃত্য পরিবেশনের ধরণ বদলে পশ্চিমী নৃত্যে ভারতীয় ধারার অনন্য এক সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন তিনি।

আসতাদের প্রয়াণে শোকস্তবদ্ধ সংস্কৃতি মহল। টুইটারে অনুপম খের, নন্দিতা দাস প্রমুখরা শেষশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। অনুপম খের লেখেন, ‘আধুনিক নৃত্যমঞ্চ তাঁর এক ধারক-বাহককে হারাল। আসতাদ তোমাকে কাছ থেকে জানা ব্যক্তিগতভাবে সম্মানের। তোমার হাসিটা সারাজীবন মনে থাকবে। আত্মার শান্তি কামনা করি।’



আর নন্দিতা দাস বলেন, ‘গোটা ছোটবেলা ওঁনার নাচ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আরও একজন মনের কাছে মানুষকে কেড়ে নিল বছরটা।’ ১৯৪৭ সালে ১৩ জুলাই গুজরাটের জন্মগ্রহণ করেন আসতাদ। ব্যক্তিগত ও দলগত হিসেবে দেশের বিভিন্ন অংশে ও বিশ্বের ৭০-র বেশি দেশে নৃত্যপরিবেশন করেছেন তিনি। ২০০২ সালে আসতাদ দাবু ডান্স ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন পদ্মশ্রী এই নৃত্যশিল্পী। মণিরত্নম, বিশাল ভরদ্বাজের মতো পরিচালকের সিনেমার কোরিওগ্রাফার ও মকবুল ফিদা হোসেনের বিখ্যাত আঁকার রূপ মঞ্চস্থ করার ক্ষেত্রে তাঁর দেখানো মুন্সিয়ানা এখনও প্রশংসিত হয়।