কলকাতা: প্রবল হাওয়ায় ঢেকে যাচ্ছে গলার আওয়াজ। ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না একটা বাক্যও। কিন্তু হাতে ধরা ছবি যেন বলে দিচ্ছে গোটা গল্প। তেরঙ্গার মধ্যে আঁকা সোনু সুদের এক ছবি। নিচে লেখা সোনু সুদ দ্য রিয়েল হিরো। আর সেই ছবি হাতে নিয়ে কাঁপা গলায় পর্বতারোহী উমা সিংহ বলছেন, 'সোনু সুদ, ভারতের আসল হিরো। কিলিমাঞ্জারো -তে।'


বাইসাইকেলে চড়ে কিলিমাঞ্জারোর শিখরে পৌঁছেছেন সাইক্লিলিস্ট ও পর্বতারোহী উমা সিংহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি শেয়ার করেছেন কিলিমাঞ্জারোয় কাটানো সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের ছোট্ট একটি ভিডিও। সেখাতে তাঁর হাতে দেখা যাচ্ছে সোনু সুদের ছবি। পিছনে রাখা সাইকেল। ও মাথার ওপর বোর্ডে লেখা কিলিমাঞ্জারো। ক্যাপসানে উমা লিখছেন, ১৫ অগাস্ট আমি আফ্রিকার সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারোতে পৌঁছেছিলাম কেবল একটা বাইসাইকেল নিয়ে। সেই মানুষটাকে সম্মান জানাতেই আমার এই যাত্রা যে এমনিই সবার ওপরে। সোনু সুদ স্যার, আমার এই জয় আপনাকে উৎসর্গ করলাম। আমায় অনুপ্রেরণা দেওযার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ট্যুইটটিতে সোনু সুদকে ট্যাগও করেছেন তিনি।


উমার এই ট্যুইটটি রিট্যুইট করেছেন খোদ সোনু সুদ। লিখেছেন, 'দারুণ। আমি তো এবার অনায়াসে বলতে পারি যে আমি কিলিমাঞ্জারো পর্বত ঘুরে এসেছি। অনেক ধন্যবাদ উমা। তোমার জন্য গর্বিত'


তবে এমন নজির এই প্রথম নয়। হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই পর্যন্ত হেঁটে সোনু সুদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন এখ পড়ুয়া। ৭০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে করোনা কালের মসিহার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ভেঙ্কটেশ নামে এক ছাত্র। হায়দরাবাদ-মুম্বই হাইওয়ে ধরে হাঁটতে থাকেন ওই যুবক। হাতের পোস্টারে লেখা,' সোনু সুদ, দ্য রিয়েল হিরো।'


ভেঙ্কটেশ নামে ওই ছাত্রের কথা ফেসবুক থেকে জানতে পারেন সোনু। তাঁর হাঁটার ভিডিও ট্যুইট করে সোনু লিখেছিলেন, 'আমি জানি তোমরা সবাই আমায় ভালোবাসো। কিন্তু নিজের জীবন বিপদে ফেলো না।' আস মুম্বই পৌঁছে সোনুর সঙ্গে দেখা করেন সেই তরুণ। তাঁর সঙ্গে ছবিও তোলেন সোনু। সেই ছবি নিজে ট্যুইট করে সোনু লিখেছেন, 'ভেঙ্কটেশ নামের এই ছেলেটি খালি পায়ে হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই হেঁটে এসেছে কেবল আমার সঙ্গে দেখা করবে বলে। নিজের জন্য কোনও যানবাহন জোগাড় করার চেষ্টাও করেনি। ওর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তবে আমি কখনোই কাউকে এই ধরনের কাজ করতে উৎসাহিত করব না।'