নয়াদিল্লি: তালিবান মঙ্গলবার সমগ্র আফগানিস্তানে ‘সাধারণ ক্ষমা’র ঘোষণা করে মহিলাদের  তাদের সরকারে যোগ দিতে বলেছে। সেইসঙ্গে রাজধানী কাবুলে যে সংশয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিরসনের চেষ্টা করছে তালিবান। উল্লেখ্য, কাবুলজুড়ে তীব্র বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। তালিবান শাসনের নাগপাশ থেকে বাঁচতে কাবুল থেকে হাজার হাজার মানুষের পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিমানবন্দরে একদিন আগেই চরম বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে এসেছিল। 
তালিবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য এনমুল্লাহ সামানগনির মন্তব্য, ইসলামির আমিরশাহি মহিলাদের নিগ্রহ চায় না। একইসঙ্গে  স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, মহিলাদের সরকারি কাঠামোয় থাকতে হবে শরিয়তি আইন অনুযায়ী।  সামানগানির বক্তব্য, সরকরের কাঠামো এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সম্পূর্ণ ইসলামিক নেতৃত্ব থাকবে এবং সমস্ত পক্ষের এতে যোগদান করা উচিত। 


তালিবানি শাসন মানেই যে উগ্রতা, ধর্মান্ধতা, সেই কট্টরপন্থী মৌলবাদী তালিবানি শাসন আফগানিস্তানে চেপে বসতে চলেছে। এই আশঙ্কাতেই হাজার হাজার মানুষ আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। 


এর আগে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত তালিবানি শাসনে চরম নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন মহিলারা। মেয়েদের স্কুলে বা বাড়ির বাইরে কাজ করা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, তাদেরকে শরীরের সমস্ত  ঢাকা বোরখা পরতে হত। বাড়ির বাইরে কোনও পুরুষ আত্মীয়র সঙ্গ ছাড়া বেরোনো নিষিদ্ধ ছিল মহিলাদের।


অন্যদিকে, নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)-র পদস্থ অসামরিক প্রতিনিধি স্টেফানো পোন্টেকোর্ভো মঙ্গলবার অনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্পূর্ণ ফাঁকা। টারম্যাকে রয়েছে আমেরিকান বাহিনী। 


ভিডিও শেয়ার করে তিনি ট্যুইট করেছেন,  কাবুলের এইচকেআইএ বিমানবন্দরে আর একটা দিন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। 


এদিকে, আফগানিস্তানে মহিলা ও মেয়েদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গ্যুটারেস। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, মহিলা ও মেয়েদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিবরণে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। তাঁরা আফগানিস্তানে অন্ধকার দিন ফিরে আসার আশঙ্কা করছেন। তাঁরা আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তাঁদের অবশ্যই আমাদের নিরাশ করা উচিত হবে না।