কলকাতা: 'দাদাগিরি'-র মঞ্চে হাজির টিম 'মুক্তি'। খেলায়, মজায় জমে উঠল মঞ্চ। ছোটবেলার গল্প থেকে শুরু করে খুনসুটি আর নাচ, 'দাদাগিরি'-র মঞ্চ মাতালেন দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy), অর্জুন চক্রবর্তীরা (Arjun Chakraborty)। 


জি ফাইভে সদ্য মুক্তি পেয়েছে 'মুক্তি' (Mukti)। এই গল্প স্বাধীনতা সংগ্রামের। এই গল্প, জেদ, লড়াই, স্বাধীনতা আর চরিত্রের ভাঙাগড়ার। এই গল্প ফুটবলের। সদ্য মুক্তি পেয়েছে নতুন ছবি 'মুক্তি'-র ট্রেলার। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে শুরু করে ফুটবলের ময়দান, ইংরেজদের গড় থেকে শুরু করে বিয়ের পিঁড়ি, ভারতীয়দের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প বলবে মুক্তি। 'মুক্তি' সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যাবে ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwik Chakraborty), অর্জুন চক্রবর্তী (Arjun Chakraborty), দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy), চিত্রাঙ্গদা (Chitrangada), চান্দ্রেয়ী ঘোষ (Chandreyee Ghosh), সুদীপ সরকার (Sudip Sarkar) সহ একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীকে। 


'দাদাগিরি'- র মঞ্চে সে দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে খুনসুটিতে মাতলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। তিনি দিতিপ্রিয়াকে প্রশ্ন করেন, টেলিভিশন থেকে রূপোলি পর্দা, দিতিপ্রিয়া যথেষ্ট পরিচিত মুখ। বাড়িতে কী তিনি মায়ের শাসনে থাকেন? 'দাদা'-র প্রশ্ন শুনে দিতিপ্রিয়া হেসে ফেলে বললেন, 'রক্ষে করো রঘুবীর'। এরপর দিতিপ্রিয়া আবদার রাখেন প্রিয় 'দাদা'-র কাছে। যে বহুল প্রচলিত 'সোয়্যাগ সে করেঙ্গে সবকা স্বাগত' গানে পা মেলাতে হবে সৌরভকে। অভিনেত্রীর আবদার রেখে গানের তালে পা মেলাল সৌরভ। 'দাদাগিরি'-র মঞ্চে তখন উচ্ছ্বসিত বাকি প্রতিযোগীরাও। 


আরও পড়ুন: হাতে শাঁখা-পলা, কপালে সিঁদুর, সবুজ পাশ্চাত্য পোশাকে মৌনীর ছবি ভাইরাল


কেমন ছিল মুক্তিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা? অর্জুন বলছেন, 'এই ছবির শ্যুটিং হয়েছে বেশ অদ্ভুত সব জায়গায়। আলিপুর সংশোনাগারের ভিতর অনেকটা অংশের শ্যুটিং হয়েছে। গোটা কাজটাই একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। ব্যক্তিগত জীবনে আমি ফুটবল খুব পছন্দ করি। প্রথমদিন যখন চিত্রনাট্যটা শুনি, আমায় ভীষণ আকর্ষণ করেছিল ফুটবলের অংশটা। যদিও ফুটবলকে কেন্দ্র করে ছবি নয়, কিন্তু ছবিটার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফুটবল। সেটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় অংশ। সবারই কম বেশি অভিনয়ের সুযোগ ছিল। আমাদের পরিচালক রোহন সবাইকে খুব ভালো করে বুঝিয়ে দিত ও কী চাইছে। একজন অভিনেতা সবসময়েই নতুন কিছু খোঁজে। 'মুক্তি'-তে অভিনয় করতে গিয়ে সেই নতুন জিনিসটা পেলাম। সেইজন্যই বোধহয় কাজটা আরও বেশি উপভোগ্য হয়েছে। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই টিম, জায়গা, অভিনেতা-অভিনেত্রী, সবাইকে খুব মনে পড়ে। রুপোলি পর্দার চাকচিক্য ছেড়ে একেবারে আসল পরিস্থিতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কোনও আসল গল্পকে নিয়ে এই ছবির চিত্রনাট্য নয়। কাল্পনিক চিত্রনাট্যের মধ্যে দিয়েই সেই সময়কার বাস্তব পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হয়েছে। শ্যুটিংয়ের পদ্ধতিও দারুণ ছিল। সবদিক থেকেই 'মুক্তি' আমার জন্য খুব বড় পাওয়া। আমায় যে 'দিবাকর'-এর চরিত্রের জন্য বাছা হয়েছে, তাতে আমি ভীষণ খুশি।'