কলকাতা: সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে 'দার্জিলিং জমজমাট' (Dargeeling Jomjomat)। সেই সিরিজে মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে টোটা রায় চৌধুরীকে (Tota Roy Chowdhury)। এই সিরিজের সুরের দায়িত্ব সামলেছেন জয় সরকার। 'ফেলুদা' বলতেই যেন কানে লেগে থাকে সেই কিংবদন্তি মিউজিক। সঙ্গীতশিল্পীর ওপর কী বিশেষ প্রত্যাশার চাপ ছিল?
এবিপি লাইভকে জয় সরকার বললেন, 'ফেলুদা যাঁর সৃষ্টি, আমি তাঁর নখের যোগ্যও নই। ফেলুদার আবহসঙ্গীত কেমন হতে পারে সেটা উনি দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। আমি কেবল ফেলুদার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগ, নস্ট্যালজিয়া, আবহসঙ্গীতের মজাকে উদযাপন করতে চাই। দায়িত্ব হিসেবে ভাবলে সেটা পারব না।'
প্রায় সব বাঙালির ছোটবেলার সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে ফেলুদা। জয় সরকারের ক্ষেত্রেও তাইই। সঙ্গীতশিল্পী বলছেন, 'ছোটবেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলুদা। আমি প্রথমে 'সোনার কেল্লা' ছবিটা দেখেছিলাম। তারপরে বইটা পড়ি। তখন ফেলুদা সমগ্র ছিল না। ছোট ছোট বই বেরত। তারপরে 'জয় বাবা ফেলুনাথ' দেখি। দুটো ছবিই মনে একটা স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছিল। কেবল আমি কেন, আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই তাই হয়েছিল। তারপরে যত বড় হয়েছি, ফেলুদার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছে। এখন ছোটবেলার সঙ্গে সবচেয়ে যোগসূত্র ফেলুদাই। কাজের মাধ্যমে আবার সেই ফেলুদার কাছে ফেরা। এর থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না।'
আরও পড়ুন: Gulmohar Release: মনোজ বাজপেয়ী, শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত 'গুলমোহর' মুক্তি পাচ্ছে অগাস্টে
সমালোচনার ভয় রয়েছে? জয় বলছেন, 'অজান্তেই হয়তো তুলনা চলে আসবে। কিছু মানুষ নিজেদের মতামত রাখবেন। কিন্তু আমি জানি কী হিসাবে কাজটা দেখছি আমি।'
এই একই সুর শোনা গিয়েছিল পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও। বাঙালির আবেগের সঙ্গে মিশে রয়েছে 'ফেলুদা'। তাকে পর্দায় তুলে ধরা কতটা গুরুদায়িত্ব? প্রায় প্রশ্নের মাঝখান থেকে সৃজিত বলে উঠলেন, 'দায়িত্বের কথা আমি মাথাতেই রাখি না। সত্যি বলতে ফেলুদা আমি নিজের জন্য বানাই। সেটা যদি মানুষের ভালো লাগে সেটা উপরি পাওনা। কারণ ফেলুদা আমার ছোট থেকে বড় হওয়া, ফিল্মমেকার হয়ে ওঠার হাত ধরছে। ফেলুদা আমার ব্যক্তিগত উদযাপন। আমার মাথায় প্রতিযোগিতা, আরও ভালো করব এসব কাজই করে না। তবে সমালোচনা থেকে কিছু শেখার থাকলে শিখব। পরের কাজে সেটা মাথায় রাখব।'