কলকাতা: কেবল গল্প নয়, চরিত্র নয়, তিনি চিত্রনাট্য পছন্দ করেন তাঁর চরিত্রের ব্যাপ্তি দেখে। অর্থাৎ, তাঁর চরিত্র সমাজের ওপর ঠিক কী প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সেটা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন তিনি। আর তাই, কাল্পনিক হিরো নন, বাস্তবের চরিত্র হয়ে ওঠাই বেশি পছন্দ তাঁর। অভিজিৎ চৌধুরী পরিচালিত ওয়েব সিরিজে জনি ওরফে জনার্দনকে তাঁর পছন্দ হয়েছিল ঠিক এই কারণেই। তারপর? দেবাশিস মণ্ডল (Debashish Mondal) থেকে পুলিশ অফিসার হওয়ার সফর।


গল্পে দেবাশিসের চরিত্র একজন এমন পুলিশ অফিসারের, যে একটা আদর্শ নিয়ে পুলিশের চাকরিতে এসেছেন। তাঁর চোখে অনেক স্বপ্ন, কিন্তু পরিস্থিতিটা বেশ আলাদা। পুলিশের ওপর রাজনীতির প্রভাব, ঘটে যাওয়া অন্যায়, সবকিছুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চায় সে। পরিস্থিতির দোটানা, ভয়, সব মিলিয়ে অদ্ভুত এক দোলাচলে পড়ে সে। দেবাশীষ বলছেন, 'জনির চরিত্রটা খুব একটা নায়োকচিত নয়। তার মধ্যে বিভিন্ন খামতি রয়েছে। সে লড়াই করে সবসময় জেতে না। জনি হেরে যায়, ভয় পায়, পিছিয়ে আসে, আবার লড়াই করে। আমার চোখে এরাই আসল নায়ক। যাঁরা সমাজের বিভিন্ন খারাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, জনি যেন তাদেরই প্রতিনিধি।'


আরও পড়ুন: Suhotra Mukhopadhay Exclusive: 'অনেক গুণী মানুষ অজিতের অভিনয় করেছেন, সেই তালিকায় নিজের নাম দেখে ভালো লাগছে'


পুলিশ অফিসার তো হল, কিন্তু দাবা? দেবাশিস বলছেন, 'জনি প্রতিবাদ করতে গিয়ে বোঝে, কেবল প্রতিবাদ নয়, তার জন্য প্রয়োজন হয় কৌশলের। দাবার ছকে সেই কৌশলই যেন জনিকে শেখায় বনি। এই দুই চরিত্রই একটি খুনে ঘটনায় জড়িয়ে যায়। তারপর পুলিশের অন্দরের বিভিন্ন গল্প আর সঙ্গে খুনের রহস্যভেদ করতে করতেই এগিয়ে যায় জনি বনির গল্প।'


এই গল্পে ভরপুর অ্যাকশন রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা কেমন? দেবাশিস বলছেন, 'আমি দীর্ঘদিন থিয়েটার করেছি। আর মার্শাল আর্টেরও শিক্ষা রয়েছে আমার। ফলে কোনও সমস্যা হয়নি সিনগুলো করতে। একবার খালি সেটে একটা দুর্ঘটনা ঘটে। কাচ ভেঙে হাতে ঢুকে যায়। পাঁচটা সেলাই পড়ে। ২দিন শ্যুট করতে পারিনি। তবে যে কোনও অ্যাকশন সিকোয়েন্সে অভিনয় আমি বেশ উপভোগ করি।'