কলকাতা: অকালে প্রয়াত হয়েছেন ব্যবসায়ী সঞ্জয় কপূর (Sunjay Kapur)। আর তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই, তাঁর অগাধ সম্পত্তি নিয়ে শুরু হয়েছে মামলা। সঞ্জয়ের সম্পত্তি কে পাবেন, সেই নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। শোনা গিয়েছে, এই সম্পত্তিতে নাকি ভাগ রয়েছে সঞ্জয় কপূরের প্রাক্তন স্ত্রী করিশ্মা কপূর (Karishma Kapoor) আর তাঁর দুই ছেলে ও মেয়েরও। অন্যদিকে, এই সম্পত্তিতে ভাগ রয়েছে সঞ্জয়ের বর্তমান স্ত্রী প্রিয়া সচদেবেরও। এও শোনা যাচ্ছে, সঞ্জয়ের দুই দিদিরও নাকি তাঁর সম্পত্তিতে ভাগ রয়েছে। আর এবার এই সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায়, পদক্ষেপ নিল আদালত।
দিল্লি হাইকোর্টে চলছিল ব্যবসায়ী সঞ্জয় কপূরের সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা। আর এই মামলায় সঞ্জয়ের বর্তমান স্ত্রী প্রিয়া সচদেবকে সম্পত্তির হিসেব দিতে বলা হয়েছিল। এদিন আদালত জানায়, প্রিয়া ব্যক্তিগত সম্পত্তির হিসেব মুখবন্ধ খামে জমা দিতে পারেন। হাইকোর্ট সব পক্ষকে রায় দিয়েছে, এই মামলা সংক্রান্ত কোনও তথ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও পক্ষ থেকেই দেওয়া হবে না। এই তথ্য কেবলমাত্র আলাদলতের হাতে থাকবে। সংবাদমাধ্য়মের কাছে এই মামলার নথি সংক্রান্ত কোনও তথ্য থাকবে না। প্রিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর কেবলমাত্র একুটু চান যে আদালতের তরফ থেকে বা অন্যান্য কোনও পার্টির তরফ থেকে, এই তথ্য যেন প্রকাশ্যে না আসে। আদালতের তরফ থেকেও এই মামলার নথি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাউকে বাইরে আলোচনা করার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, করিশ্মা কপূরের আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি অভিযোগ করেছেন, মিডিয়ার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় না। তিনি জানান যে করিশ্মার সন্তানদের আরকে ট্রাস্টে ১৯ হাজার কোটি টাকার অংশীদারিত্ব রয়েছে। এটি এই ব্যক্তিগত সম্পত্তির মামলার থেকে আলাদা। দিল্লি হাইকোর্ট করিশ্মা কাপূরের সন্তানদের আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছে যে কীভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখা যায়। এর উত্তরে জেঠমালানি অভিযোগ করেন যে ২২-২৬ আগস্টের মধ্যে অনেক কার্যকলাপ হয়েছে এবং প্রিয়া কাপূর সম্পত্তি নিজের দখলে নিয়েছেন। তিনি বলেন যে উইলে নথিভুক্ত কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দেওয়া হয়েছে এবং শেয়ারও দখল করা হয়েছে। তিনি বলেন যে এই জাল উইলের কারণে তাঁর মক্কেলের অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং তাঁদের জন্য গোপনীয়তার কোনও মানে নেই।
প্রিয়া কাপুরের আইনজীবী রাজীব নায়ার দিল্লি হাইকোর্টে যুক্তি দিয়ে বলেন যে সম্পত্তি নিয়ে বিতর্ক প্রকাশ্যে আনা উচিত নয়। সংবাদমাধ্যমে লাগাতার এই নিয়ে তরজা চলছে, কিন্তু গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে এই মামলার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছে তাঁদেরই। এই মামলার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত আছেন, তাঁদেরই নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। আদালত বলেছে যে সব পক্ষ সংবাদমাধ্যমে কিছু বলা যাবে না। নথি সিল করা খামে জমা হবে, কিন্তু তা ফাঁস করা উচিত নয়। এছাড়াও, এই নথি অন্য পক্ষের সঙ্গেও ভাগ করতে হবে।