নয়াদিল্লি: সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandra) সংক্রান্ত ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ মামলায় (Rs 200 crore extortion case) দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ (Patiala House Court) আদালতে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে (Jacqueline Fernandez) তলব করা হল। তাঁকে ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এএনআই সূত্রে খবর, অভিনেত্রীকে দোষী উল্লেখ করে যে অভিযোগপত্রটি জমা হয়েছে সেটি আমলে নিয়েছে আদালত।
জ্যাকলিনকে তলব
এর আগে, গত ১৭ অগাস্ট ইডি (Enforcement Directorate) সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে আর্থিক তছরুপ মামলায় জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করেছিল। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে অভিনেত্রী সচেতন ছিলেন যে সুকেশ চন্দ্রশেখর একজন অপরাধী এবং ঠগ। দিল্লির একটি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করে ইডি। তার আগে অভিনেত্রীর সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছিল ইডি। পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে এপ্রিলে অভিনেত্রীর ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছিল এজেন্সি।
চেন্নাই নিবাসী সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বছরে তাঁর থেকে ২০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই মামলাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। ৩০ অগাস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল জ্যাকলিনকে। জ্যাকলিনের সঙ্গে কথা বলে ইডি-র হাতে আসে বহু জরুরি তথ্য । এর পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় এক বিবৃতিতে অভিনেত্রীর মুখপাত্র বলেন, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজনকে সাক্ষী হিসেবে ডাকছে ইডি। তিনি এর আগে বিবৃতি রেকর্ড করেছেন।
সুকেশ চন্দ্রশেখরকে ২০০ কোটি টাকার প্রতারণায় গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, এই ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার বহুমূল্য উপহার পেয়েছিলেন জ্যাকলিন। ইতিমধ্যেই জানা যায়, আর্থিক প্রতারণার টাকা থেকেই নাকি জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে বহুমূল্যের উপহার দিতেন সুকেশ চন্দ্রশেখ। এনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে বেশ কয়েকবার নিজেদের দফতরে ডেকে পাঠায় ইডি।
আরও পড়ুন: Laal Singh Chaddha: বক্স অফিসে ব্যর্থ 'লাল সিং চাড্ডা', ছবির জন্য বড় ত্যাগ আমির খানের
২৪ অগাস্ট তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল, চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় চেন্নাইয়ে একটি সমুদ্রমুখী বাংলো, ৮২.৫ লক্ষ নগদ টাকা এবং এক ডজন বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রায় ২০০ কোটি টাকার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং তোলাবাজির অভিযোগে তার এবং অন্যদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার একটি এফআইআর -এর ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়েছে।