কলকাতা: তখন সদ্য মুক্তি পেয়েছে 'টনিক' (Tonic)। মুক্তির প্রথম রবিবারই নায়কের জন্মদিন, শুভেচ্ছাবার্তায় ভরছে ইনবক্স.. প্রতিবারের মতোই। কিন্তু নায়কের সেই উত্তর দেওয়ার সময় নেই। একের পর এক হল মালিককে ফোন করে চলেছেন তিনি.. 'বলেছিলেন প্রথমদিন হাউসফুল হলে হল দেবেন.. শো বাড়াবেন। এবার হল দিন। আজ আমার জন্মদিন। হল দিন।....'  নাহ.. ক্ষমতা প্রদর্শন নয়, আবদার, অনুরোধ.. টিঁকে থাকার লড়াই। 


তবে লড়াই শব্দটা সাধারণত জুড়ে দেওয়া হয় এমন মানুষদের সঙ্গে, যাঁরা সবে কেরিয়ার শুরু করেছেন। কিন্তু যিনি টলিউডের প্রথম সারির নায়ক, প্রযোজকও, তাঁকেও টিঁকে থাকার লড়াই করতে হয়! হ্যাঁ হয়। নতুন ছবি 'কাছের মানুষ' মুক্তির আগে এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফের প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন, মনের কথা বললেন দেব। 


আরও পড়ুন: Sedin Kuasha Chilo: বন্দুক, চশমায় এ কোন অর্ণ? সঙ্গী হলেন 'সুলক্ষণা' সৌরসেনী


ছবি মুক্তির পর নন্দনে শো পাওয়া নিয়ে রেশারেশি ইদানিং প্রায়শই খবরের শিরোনামে উঠে আসে। সত্যিই কি নন্দন বিতর্ক ছবির ব্যবসায় কোনওরকম ছাপ ফেলে? দেব বলছেন, 'আমিও তো প্রথম কয়েকটা ছবির ক্ষেত্রে নন্দনে হল পাইনি। হল পাওয়ার লড়াইটা অনেকের আছে। আমি প্রথম যে হল নিয়ে লড়াই করেছি। বাঙালিরা কখনও টিম হিসেবে খেলতে ভালোবাসে না। আমি যখন একা লড়াই করতাম, সবাই হাসত। বলত এমপি (সাংসদ) হল পাচ্ছে না। যদি ভালোবাসাতে কাজ না হয়, কী করব ক্ষমতা দিয়ে! আমি তো কখনও হল পাওয়ার জন্য সাংসদ হওয়ার ক্ষমতাই ব্যবহার করিনি। ভয় দেখিয়ে একটা শো হয়তো পাব। কিন্তু আমায় তো সারা জীবন এই লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। সবসময় আমি সাংসদ নাও থাকতে পারি। আমার লড়াইয়ের সময় কাউকে পাশে পাইনি আমি। কিন্তু এখন তো এক নম্বর প্রযোজনা সংস্থা হল পাচ্ছে না, সৃজিত মুখোপাধ্যায় লিখছেন আমি হল পাচ্ছি না। তখন? আমি সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে ফোন করে অনুরোধ করেছিলাম 'কাকাবাবু' আগে রিলিজ করার জন্য। আজকে আমরা যদি হিন্দি, ইংরাজি, দক্ষিণী ছবিকে হল ছেড়ে দিই, আগামীদিনে নতুন ছবির জন্য আমরাই হল পাব না। লকডাউনের মধ্যে 'টনিক' ১০০ দিন সম্পূর্ণ করেছিল। সৃজিত মুখোপাধ্যায় তখন ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছিলেন, 'তুই এই সাহসটা দেখালি।' নন্দন হোক বা মাল্টিপ্লেক্স.. এই লড়াইটা আমার একার নয়। যখন অন্যের লড়াই হবে তখন তোমার একার লড়াই আর নিজে হল না পেলে কান্নাকাটি করব এভাবে তো চলতে পারে না।'