কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির পরে যখন শ্যুটিং শুরু হয়, তাঁর প্রথম ছবিই ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে। শুধু কী তাই, সঙ্গে আরও ১৬ জন অভিনেতা অভিনেত্রী। শট দেওয়া হয়ে গেলেও কেউ নিজের ঘরে ফিরে যাচ্ছেন না। শ্যুটিং সেটেই চলছে গল্প, আড্ডা, খেলাও। কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলে ১৭ দিন কাটানোর পর মনে হয়েছিল, কেবল সহকর্মী নন, সবাই যেন একটা পরিবার। 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা'-র শ্যুটিংয়ে ক্যামেরার পিছনের গল্প বললেন দেবলীনা কুমার (Devlina Kumar)।
সঙ্গে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee), অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় (Arpita Chatterjee), তনুশ্রী চক্রবর্তী (Tanusree Chakraborty), রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, কৌশিক সেনের মত সিনিয়র অভিনেতা, কেমন করে সময় কাটত? দেবলীনা বলছেন, 'সবাই যেন পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছিল। আমি খুব ইনস্টাগ্রাম করি, রিল বানাই। কিন্তু ওখানে সবাই এত গল্প করত, ফোন দেখার সময়ই পেতাম না। শট শেষ হয়ে গেলেও কেউ ঘরে ফিরে যেতেন না। সবাই একসঙ্গে বসে আড্ডা মারতেন, গল্প করতেন। মোবাইল দেখার সময়েই পেতাম না আমি। আমরা সবচেয়ে বেশি অবাক হতাম অপুদাকে (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) দেখে। ওঁর ঘরের ব্যালকনিতে আমাদের আড্ডার আসর বসত। আগেরদিন হয়তো অনেক রাত পর্যন্ত গল্প হয়েছে। অপুদার দেরিতে কল টাইম, আমাদের তার আগে। আমরা সবাই সেটে পৌঁছে দেখতাম, অপুদা সবার আগে এসে বসে আছেন। এত সিনিয়র একজন অভিনেতা, অথচ প্রতিটা কাজের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত থাকেন উনি সেটা সত্যিই শেখার।'
আরও পড়ুন: প্রত্যেক সফল পুরুষের পিছনে একজন নারী থাকে, এই কথাটা আমি বিশ্বাস করি : খরাজ
এই ছবি একটা যৌথ পরিবারের গল্প বলে। নিজে যৌথ পরিবারে কতটা বিশ্বাস করেন দেবলীনা? অভিনেত্রী বলছেন, 'যখন বাড়িতে কোনও বাচ্চা থাকে, খুব মনে হয় যৌথ পরিবার থাকাটা জরুরি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, দূরে থেকেও সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা যায়। যদি বছরে মাঝেমধ্যে সবাই একসঙ্গে দেখা করে সময় কাটানো যায়, আমার মনে হয় পরিবারের সম্পর্কগুলো আরও দৃঢ় হয়।'