কলকাতা: গামছা পাড়ের শাড়ি, সিঁথিতে সিঁদুর। ঘরের লক্ষ্মীকে বরণ করে নিলেন দেবলীনা কুমার। উত্তমকুমারের পুত্রবধূ হিসাবে এই প্রথম লক্ষ্মীপুজো তাঁর। একদিকে নিজের বাড়ির পুজো অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির। 


নিজের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয় তাঁর। সকালে সেই পুজোর দায়িত্ব সেরে শ্বশুরবাড়িতে চলে এসেছেন দেবলীনা। বাড়ির নিয়ম মেনে পুজোয় বসেন স্বামী গৌরব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে এবার পুজোয় বসেছিলেন তিনিও। আর আজ বাড়ির বউ হিসেবে দেবী প্রতিমাকে বরণ করে নিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ার করে অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানালেন দেবলীনা। সঙ্গে লিখলেন, 'আবার এসো মা।'




 


এমনিতেই পুজোর কাজ করতে বেশ পছন্দ করেন দেবলীনা। এবিপি লাইভকে দেবলীনা বলেছিলেন, 'আমি সবরকম পুজো নিয়েই বেশ এক্সাইটেড থাকি। পুজোর কাজ  করতে আমার খুবই ভাল লাগে। আর এই বছর যেহেতু দুই বাড়িরই দায়িত্ব খানিক করে সামলাতে হচ্ছে তাই অন্যরকম একটা ভাল লাগা আছে।'


অভিনয়ের পাশাপাশি নাচের জন্যও বিখ্যাত দেবলীনা কুমার। ২০১১ সালে শুরু করেছিলেন নিজের স্বপ্নের নাচের স্কুল - Lai Haraoba। বিগত ১০ বছর ধরে সেখানে বেশ বড় করেই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেন অভিনেত্রী। থিম করে, মণ্ডপ তৈরি করে পুজো হয় প্রত্যেক বছর। সেই সঙ্গে থাকে এলাহি ভোগের আয়োজন। 'আমাদের বাড়ির ভোগে থাকছে পোলাও, লুচি, সাত রকমের ভাজা, ছোলার ডাল, আলুর দম, ছানার কালিয়া, নাড়ু, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি। আর সবটাই বাড়িতে বানানো হয়।'


চট্টোপাধ্যায় বাড়ির লক্ষ্মীপুজো মানেই সকলের জন্য অবারিত দ্বার। কিন্তু করোনা আবহে কি কোনও বিশেষ বিধিনিষেধ থাকছে? দেবলীনার কথায়, 'এবারে আলাদা করে কাউকে সেভাবে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। তবে পুজোর বাড়িতে কেউ এলে তাঁকে অবশ্যই ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।'


উত্তমকুমারের বাড়ির প্রতিমা তৈরি হয় তাঁর স্ত্রী গৌরীদেবীর আদলে। সেই প্রথা চলে আসছে আজও। এবিপি লাইভকে গৌরব জানিয়েছিলেন, 'প্রতিবার নতুন মুর্তি তৈরি হয়। একসময় আমাদের বাড়ির প্রতিমা বানাতেন নীরঞ্জন পাল। এখন তাঁর পরিবারই ঠাকুর তৈরি হয়। ঠাকুমার (গৌরীদেবী) মুখের ছাঁচ রয়েছে ওনাদের কাছে।'