Dharmendra Death: প্রয়াত বলিউডের 'হি ম্যান' ধর্মেন্দ্র। অন্যতম প্রিয় বন্ধুর জন্মদিনের দিনই চলে গেলেন তিনি। আর তার সঙ্গে শেষ হল ৭০ বছরের এক বন্ধুত্ব। কয়েক সপ্তাহ আগেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বর্ষীয়ান ধর্মেন্দ্র। ভুয়ো খবরও রটেছিল যে তিনি মারা গিয়েছেন। তবে সব রটনা, জল্পনা মিথ্যে করে কামব্যাক করেছিলেন পর্দার 'বীরু'। কিন্তু তার কয়েকদিনের মধ্যেই এবার প্রয়াত হলেন অভিনেতা। ৮৯- এই থামল তাঁর জার্নি। পরের মাসেই ৮ ডিসেম্বর ৯০- এ পা দিতেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু তার আগেই নক্ষত্রপতন। আর কাকতালীয় ভাবে ধর্মেন্দ্রর প্রয়ান হয়েছে তাঁরই পরম বন্ধু সেলিম খানের ৯০তম জন্মদিনের দিন।
ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সেলিম খানের বন্ধুত্ব বিটাউনে কারও অজানা নয়। তাঁদের বন্ধুত্ব ঠিক কতটা গাঢ় ছিল তার কিছু নিদর্শন রুপোলি পর্দাতেও দেখেছেন দর্শকরা। সুপার ডুপার হিট ছবি 'শোলে' এবং 'সীতা অউর গীতা' - এই দুই ছবিতে ধর্মেন্দ্রর অভিনয় দর্শকমহলকে আজও মাতিয়ে রাখে। আর এই দুই ছবিরই স্ক্রিনরাইটার 'দ্য গ্রেট' সেলিম খান। ধর্মেন্দ্র এবং সেলিম খানের জন্ম একই সালে, ১৯৩৫। ২৪ নভেম্বর অর্থাৎ আজ সেলিমের ৯০তম জন্মদিন। আর সেই দিনই চলে গেলেন তাঁর পরম বন্ধু।
সেলিম-জাভেদ জুটির কথা সিনেমা প্রেমীরা প্রায় সকলেই জানেন। তবে এই জুটির সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর যোগও কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেলিম-জাভেদ জুটি ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে প্রথম কাজ করেন ১৯৭২ সালে, 'সীতা অউর গীতা' ছবিতে। এরপর ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে ফের সেলিম খানের কাজ 'শোলে' ছবিতে। ধর্মেন্দ্র এবং সেলিমের একসঙ্গে কাজ রয়েছে আরও দুই কালজয়ী ছবিতে। একটি ১৯৭৩ সালের 'ইয়াদোঁ কি বারাত'। অন্যটি ১৯৭৭ সালের 'চাচা ভাতিজা'। ছয় দশক ধরে বলিউডে কাজ করেছেন ধর্মেন্দ্র। একাধিক হিট ছবি রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। তবে তাঁর সমস্ত চরিত্রের মধ্যে 'শোলে'- র 'বীরু'-কে চিরদিন মনে রাখবেন দর্শকরা। রমেশ সিপ্পির পরিচালনা, সেলিম খানের স্ক্রিপ্ট, অমিতাভ-ধর্মেন্দ্র জুটির দুরন্ত অভিনয়, একদিনে জয়া বচ্চন, অন্যদিকে হেমা মালিনী, ডাকাত গব্বর সিংয়ের চরিত্রে আমজাদ খান... এই ছবির সমস্ত চরিত্রাভিনেতারাই দর্শকদের মনে বিরাজ করছেন ৫০ বছর ধরে।
এবছর 'শোলে'- র ৫০ পূর্তি হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যেই বড়পর্দায় ফিরছে 'শোলে দ্য ফাইনাল কাট'। ১২ ডিসেম্বর রিলিজ এই ছবির। একদম অরিজিনাল আনকাট ভার্সান। তবে তাঁর আগেই চলে গেলেন 'শোলে'- র সেলিমের পরম বন্ধু ধর্মেন্দ্র।