কলকাতা: যিনি জয় করে নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষের মন.. তাঁকে শেষযাত্রায় দেখতে পেলেন না অনুরাগীরা! আজ দুপুরের দিকেই ছড়িয়ে পড়েছিল খবরটা। মানুষ যেন প্রথমটা বিশ্বাসই করতে পারেননি, কিন্তু সত্যিটা মানতেই হয়েছিল। জন্মদিনের মাত্র কয়েকটা দিন আগেই নিজের বাসভবনে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (Dhanmendra)। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই ৯০ বছরে পা রাখার কথা ছিল তাঁর। সেই মতো পরিবারে চলছিল জন্মদিনের উদযাপনের তোড়জোড় ও। কিন্তু তার আগেই নিভে গেল কিংবদন্তির জীবনদীপ। আর অভিনেতার শেষকৃত্য নিয়ে ক্ষোভ দেখা গেল অনুরাগীদের মধ্যে। 

Continues below advertisement

ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর বাসভবনের সামনে ভিড় জমান অনুরাগীরা। তবে বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃতদেহ এমন কোথাও সংরক্ষণ করে রাখার ব্য়বস্থা করা হয়নি যেখানে অনুরাগীরা তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে পারবেন। সম্মান জানাতে পারবেন। ধর্মেন্দ্রর মৃতদেহ একবার ও অনুরাগীদের সামনে নিয়ে আসা হয়নি। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেখা যায়, গাড়িতে করে এসে পৌঁছন হেমা মালিনী। একটি গোলাপি সালোয়ার কামিজ পরেছিলেন তিনি। থমথমে মুখে, পাপারাৎজিদের দেখে হাতজোড় করে চলে যান তিনি। ওড়নায় মুখ ঢেকে তড়িঘড়ি শ্মশানে পৌঁছন কন্যা এশা। ধর্মেন্দ্রর ২ ছেলে মিলে তাঁর শেষকৃত্য করেন।

সদ্যই বিনোদন জগৎ হারিয়েছে আরেক কিংবদন্তিকে। তিনি জুবিন গর্গ (Zubeen Garg)। অকালেই সঙ্গীতের আকাশ থেকে খসে পড়েছে একটি নক্ষত্র। তার শেষযাত্রায় মনে রাখার মতো ছবি দেখেছিল অসম। রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল, চোখে জল, গলায় প্রিয় গায়কের গান। কিংবদন্তির শেষযাত্রা তো এমনটাই হওয়া উচিত ছিল!  তবে ধর্মেন্দ্রর ক্ষেত্রে দেখা গেল না সেই ছবি। অভিনেতার বাড়িতে অবশ্য এসে পৌঁছন অনেক বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীকে। শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। তবে শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পেলেন না সাধারণ মানুষ। 

Continues below advertisement

অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে, যে শিল্পী বছরের পর বছর ধরে মানুষের মনোরঞ্জন করে গিয়েছেন, তাঁর শেষকৃত্যে এত গোপনীয়তা কেন? অনেকে আবার কটাক্ষ করে বলেছেন যে, ধর্মেন্দ্রজীর শেষকৃত্যে এত তাড়াহুড়ো দেখে মনে হচ্ছে, পরিবারের সবাই যেন এই দিনটার জন্য়ই অপেক্ষা করছিলেন। অভিনেতাকে হারিয়ে অবশ্য শোকস্তব্ধ টলিউড থেকে বলিউড। প্রত্যেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নিজের আবেগের কথা লিখেছেন।