নয়াদিল্লি: নয় নয় করে চার দশকের বেশি বয়স হয়ে গিয়েছে দাম্পত্যের। ৯০-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে একজন, অন্য জন ৮০ ছুঁইছুঁই। তবে পরস্পরের প্রতি অনুভূতি আজও সবুজ। তাই ৪৪তম বিবাহবার্ষিকীতে ফের একবার বিয়ে সারলেন বলিউড অভিনেতা ধর্মেনন্দ্র এবং সাংসদ তথা অভিনেত্রী হেমা মালিনী। মালাবদলের পরের মুহূর্তের ছবি নিজেই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন হেমা। তাঁদের বিয়েতে মেয়ে এষা দেওলকে দেখা গেলেও, সানি বা ববিকে দেখা যায়নি। তাঁরা বিয়েতে যাননি বলেই খবর। (armendra-Hema Malini)


বিবাহবার্ষিকীর ওই বিশেষ মুহূর্ত নিজেই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন হেমা। ছবি পোস্ট করেছেন এষাও। কেক কেটে বিবাহবার্ষিকী উদযাপনের পরিবর্তে তাঁরা বাড়িতে আবারও বিয়ে সারেন বলে জানা গিয়েছে। ছবিতেও ধর্মেন্দ্র এবং হেমার গলায় পেল্লাই আকারের মালা চোখে পড়েছে। তবে প্রথম বারের মতোই, এবারও ধর্মেন্দ্রর পরিবারের তরফে কেউ এই বিয়ের অনুষ্ঠানে শামিল হননি বলে জানা গিয়েছে। (Bollywood News)


১৯৭০ সালে ‘তু হাসিন ম্যাঁয় জওয়ান’ ছবির সেটে আলাপ ধর্মেন্দ্র এবং হেমার। ছবির শ্যুটিং চলাকালীনই মন দেওয়া নেওয়া হয়। এক সাক্ষাৎকারে হেমা জানান, প্রথম দেখাতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে গোটা জীবন কাটাবেন তিনি। তবে সম্পর্ক সহজে গড়ে উঠলেও, বিয়ে পর্যন্ত এগোতে কম ঝড়-ঝাপ্টা পোহাতে হয়নি তাঁদের।



আরও পড়ুন: 'Pherari Mon': 'ফেরারি মন' ধারাবাহিকে দ্বৈত চরিত্রে নায়ক, আসছে নতুন দুই চরিত্র


হেমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর সময় বিবাহিত ছিলেন ধর্মেন্দ্র। সানি, ববি, বিজেতা, অজিতা, চার সন্তানও ছিল তাঁর। কিন্তু সংসার, সন্তান কিছুই ‘ড্রিম গার্লে’র থেকে দূরে রাখতে পারেনি ধর্মেন্দ্রকে। ধর্মেন্দ্রর জন্য জিতেন্দ্র, সঞ্জীব কুমারকে প্রত্যাখ্যান করেন হেমাও। হেমার বাড়ির লোকজনেরও সায় ছিল না এই বিয়েতে।



তবে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন ধর্মেন্দ্র এবং হেমা। পাঁচ বছর ধরে পরস্পরকে চেনা, বোঝার পর ১৯৮০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর বিবাহবিচ্ছেদে রাজি হননি। ফলে হিন্দু বিবাহ আইনে হেমাকে বিয়ে করা সম্ভব ছিল না ধর্মেন্দ্রের। হেমাকে বিয়ে করতে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি। পরবর্তীতে দুই মেয়ে হয় তাঁদের, এষা এবং অহনা। তবে ধর্মেন্দ্র এবং হেমা আলাদা সংসার পাতলেও, দেওলদের সঙ্গে হেমার সম্পর্ক সহজ হয়নি। 


দেওলদের পারিবারিক অনুষ্ঠানেও বরাবর ব্রাত্য হেমা এবং তাঁর মেয়েরা। সানির ছেলের বিয়েতেও ডাক পাননি তাঁরা। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সানি এবং এষাকে সৌজন্য় বিনিময় করতে দেখা যায়, তাতে বরফ গলেছে বলে ধরে নেন অনেকে। কিন্তু ধর্মেন্দ্র এবং হেমার ৪৪তম বিবাহবার্ষিকীতে সানি-ববির অনুপস্থিতিতে আবারও ফাটল স্পষ্ট হল।