মুম্বই: বলিউডের সবচেয়ে সুদর্শন নায়ক হিসেবে গণ্য হতেন। সেই ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিত। বিশেষ কে ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এবং পরবর্তীতে বিবাহ নিয়ে কম চর্চা হয়নি। হেমাকে বিয়ে করতে, ধর্মেন্দ্র ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হেমাও তাঁকে অনুসরণ করেন বলে চাউর হয়েছিল। সম্প্রতি পুরীর মন্দিরে হেমার ঢোকা নিয়েও তাই বিতর্ক হয়। কিন্তু সত্যিই কি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র ও হেমা? ধর্মেন্দ্র নিজেই তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। (Dharmendra News)
১৯৮০ সালে ধর্মেন্দ্র হেমাকে বিয়ে করলে তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কারণ আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন ধর্মেন্দ্র। স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে চার সন্তান ছিল তাঁক, সানি, ববি, অজিতা ও বিজয়া। প্রথম স্ত্রী থাকতে, তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ না ঘটিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করলেন কী করে ধর্মেন্দ্র, প্রশ্ন ওঠে তা নিয়ে। আর সেই সময়ই ‘নিকাহ্’র তত্ত্ব সামনে আসে। শোনা যায়, প্রথম স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করতে ইসলাম গ্রহণ করেন ধর্মেন্দ্র। প্রথমে ‘নিকাহ্’ হয় তাঁদের। ‘দিলাওয়ার’ নাম গ্রহণ করেন ধর্মেন্দ্র, হেমা হন ‘আয়েশা বাঈ’। পরে আয়েঙ্গার আচারানুষ্ঠান মেনেও বিয়ে হয়। (Dharmendra-Hema Malini Marriage)
হেমার জীবনী ‘Hema Malini: Beyond the Dream Girl’ বইতে রাম কমল মুখোপাধ্যায় জানান ধর্মেন্দ্র এবং হেমার বিয়ের আইনি বৈধতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। কারণ হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী প্রথম বিয়েতে ইতি না ঘটিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায় না। ২০০৪ সালে বিজেপি-র প্রার্থী হন ধর্মেন্দ্র। সেই সময় হলফনামায় স্ত্রী হিসেবে শুধুমাত্র প্রকাশের নামই উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে নিজের সম্পত্তিরই হিসেব দিয়েছিলেন অভিনেতা। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হতে সময় লাগেনি।
ধর্মেন্দ্র কেন তাঁর নাম হলফনামায় উল্লেখ করেননি, সেই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন হেমাও। তিনি বলেন, “এটা আমাদের মধ্যেকার ব্যাপার। আমরা নিজেরাই এটা মিটিয়ে নেব। অন্য কাউকে এ নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না।” সেই সময় রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন হেমা। তাঁর মনোনয়ন বাতিলের দাবিও ওঠে। হেমা ভুল নাম লিখেছেন, সঠিক ধর্ম পরিচয় উল্লেখ করেননি বলে অভিযোগ তোলা হয়। যদিও হেমার বক্তব্য ছিল, “এই সব অভিযোগ সত্য নয়। এ ব্যাপারে আর কিছুই বলতে চাই না আমি।”
কিন্তু হেমাকে বিয়ে করতে সত্যিই কি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র? ২০০৪ সালে একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্ন করলে অভিনেতা বলেন, “এসব মিথ্যে অভিযোগ। নিজের স্বার্থে ধর্ম পরিবর্তন করার মতো পুরুষ নই আমি।”
হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম চর্চিত নাম ধর্মেন্দ্র। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই বিতর্ক ছিল। মীনা কুমারীর সঙ্গে তাঁর রসায়ন নিয়েও একসময় মুখরিত ছিল মায়ানগরী। ১৯৫৪ সালে প্রকাশকেই প্রথম বিয়ে করেন অভিনেতা। সাতের দশকে হেমার সঙ্গে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা। বিশেষ করে ‘শোলে’র শ্যুটিংয়ের সময় দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়। হাজার বিতর্ক সত্ত্বেও ১৯৮০ সালে হেমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ধর্মেন্দ্র। তাঁদের দুই কন্যা রয়েছে, এষা এবং অহনা। কয়েক বছর আগে, ধর্মেন্দ্র ও হেমা পুনরায় মালাবদল করেছেন বলে ছবি পোস্ট করেন এষা।