মুম্বই: ধর্মেন্দ্র-আশা পারেখ জুটি এক সময় বলিউডে রীতিমত জনপ্রিয় ছিল। আশা সে সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, তাঁর প্রত্যেক ছবি সুপারহিট। তিনি তাঁকে ডাকতেন জুবিলি পারেখ বলে। এক রিয়্যালিটি শোয়ের শ্যুটিংয়ে এসে আশা পারেখ ও ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে বসে ধর্মেন্দ্র এই স্মৃতিচারণ করলেন।

ধর্মেন্দ্র জানিয়েছেন, ১৯৬৬-তে আয়ে দিন বাহার কে ছবির শ্যুটিং চলছিল দার্জিলিংয়ে। প্যাক আপের পর প্রযোজক ও ক্রু সদস্যরা গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি, খানাপিনা করতেন। যোগ দিতেন ধর্মেন্দ্রও, মদ্যপান করতেন তিনিও। সকালে অ্যালকোহলের গন্ধ বার হত মুখ থেকে, তাই তা লুকনোর জন্য শ্যুটিংয়ের আগে পেঁয়াজ খেয়ে নিতেন তিনি। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই পেঁয়াজের গন্ধ আশা পারেখের সহ্য হত না, এ নিয়ে অনুযোগ করতেন নিয়মিত।

পুরনো দিনের এমনই সব গল্পসল্প শোনা যাবে ছোটদের জন্য ওই ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের ফাঁকে। ধর্মেন্দ্র জানিয়েছেন, শেষমেষ তিনি আশাকে জানিয়ে দেন তাঁর রাত্তিরে নেশা করার কথা। তখন তিনি তাঁকে মদ্যপান বন্ধ করতে বলেন। তা শুনেছিলেন ধর্মেন্দ্র, তখন থেকে তাঁরা ভাল বন্ধু হয়ে যান। এখন তাঁরা এক পরিবারের মত।

আশা জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কথা দেওয়ার পর থেকে ঠাণ্ডা লাগলেও এক ফোঁটা মদ ছুঁতেন না ধর্মেন্দ্র। ছবিতে একটা গান ছিল, যেখানে ধর্মেন্দ্রকে জলে নেমে নাচতে হয়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় তিনি নীল হয়ে যেতেন। জল ছেড়ে উঠে আসার পর সবাই তাঁকে ব্র্যান্ডি খেতে বলত। কিন্তু তিনি রাজি হতেন না কারণ আশা পারেখ তাঁকে বলেছিলেন, ফের মদ্যপান করলে সেট ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন তিনি।