কলকাতা: আর কয়েকটা দিন পেরোলেই, ৯০ বছরে পা দেবের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)। সদ্যই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি, ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। অভিনেতার পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে পর্যন্ত দিতে হয়েছিল। তবে আপাতত অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন অভিনেতা। বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি। তবে বাড়িতেই আপাতত পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি। অভিনেতার স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। আপাতত বর্ষীয়ান অভিনেতার সঙ্গে রয়েছে তাঁর গোটা পরিবার। 

Continues below advertisement

ধর্মেন্দ্র খুব অল্প বয়সে, প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তাঁর ২ সন্তান ও হয়। এরপরে, অভিনয় করতে এসে হেমা মালিনীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ধর্মেন্দ্র। তাঁরা বিবাহ করেন, তবে প্রকাশ কৌরের সঙ্গে কখনও বিচ্ছেদ হয়নি ধর্মেন্দ্রর। এমনকি সদ্য দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র পুত্র জানিয়েছিলেন, ধর্মেন্দ্র নাকি বর্তমানে একটি বাগানবাড়িতে প্রকাশ কৌরের সঙ্গেই বসবাস করেন। আলাদা থাকেন হেমা মালিনী। আর ধর্মেন্দ্র অসুস্থ হওয়ার পর থেকে, নিয়মিত হাসপাতালে আসা যাওয়া করছেন প্রকাশ কৌর, এসেছেন ধর্মেন্দ্রর বাড়িতেও। 

প্রকাশ কৌরের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর বিবাহ হয়েছিল খুবই অল্পবয়সে, তবে তিনিই ধর্মেন্দ্রর প্রথম ভালবাসা ছিলেন না! তারও আগে, অভিনেতা নাকি মন দিয়েছিলেন একজনকে। দেশভাগ নাকি ধর্মেন্দ্রর প্রথম প্রেম ছিনিয়ে নেয়। একটি শো-তে এসে নিজের ছোটবেলার প্রেমের গল্প বলেছিলেন ধর্মেন্দ্র। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের আগের ঘটনা সেটা। ধর্মেন্দ্র যে গ্রামে থাকতেন, সেই গ্রামেই থাকতেন হামিদা বলে একটি মেয়ে। হামিদা ধর্মেন্দ্রর থেকে বয়সে একটু বড় ছিলেন, তবে সেই সময়ে সেটা ভাবনার বিষয় ছিল না ধর্মেন্দ্রর কাছে। সেই সময়ে ধর্মেন্দ্র ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তেন আর হামিদা পড়তেন অষ্টম শ্রেণীতে। হামিদা ছিলেন ধর্মেন্দ্রর শিক্ষকের মেয়ে।

Continues below advertisement

ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, ছোটবেলায় তিনি খালি চাইতেন, হামিদার পাশে বসতে। তিনি কেবল দূর থেকে হামিদাকে দেখতেন আর দীর্ঘশ্বাস ফেলতেন। সেই সময়ে ধর্মেন্দ্র ভীষণ লাজুক ছিলেন। তিনি কখনও মুখে বলেননি তাঁর ভাললাগার কথা। ছোটবেলার প্রেম, মনের কথা মনেই রেখেছিলেন তিনি। হামিদা কখনও জানতেই পারেননি যে ধর্মেন্দ্রর তাঁকে ভাল লাগে। পরবর্তীতে ধর্মেন্দ্র একটি কবিতা লিখেছিলেন, যেখানে তিনি হামিদার কথা লিখে রেখেছিলেন।

দেশভাগের সময় ১৯৪৭ সালে হামিদা তাঁর পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তান চলে যান এবং ধর্মেন্দ্র ভারতে থেকে যান। তাঁদের আর কখনো দেখা হয়নি।