দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে  NIA এর জালে ধরা পড়েছে  উমরের আরেক এক সহযোগী। মনে করা হচ্ছে এই হল দিল্লি  বিস্ফোরণের মূল মাথা। এরপরই  জম্মু-কাশ্মীরের পাম্পোরের বাসিন্দা আমির রশিদ আলিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সে ছিল জঙ্গি ডাক্তার উমর উন নবির অন্যতম সহযোগী। দিল্লি বিস্ফোরণের সময় উমর উন নবির সঙ্গে চক্রান্তে সামিল ছিল এই ধৃত আমির রশিদ আলি। আর এই আমির রশিদের নামেই উদ্ধারহওয়া i20 গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ছিল। দাবি NIA-র। তবে এখনও যে তথ্যগুলো হন্যে হয়ে খুঁজছে তদন্তকারী দল, সেগুলো জানা যাবে কীভাবে। মনে করা হচ্ছে, এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে দুটি ফোন নম্বর।  

Continues below advertisement

এনআইএ-র দাবি, হরিয়ানার একটি মেডিক্যাল স্টোরের CCTV ফুটেজে দুটি মোবাইল হাতে দেখা গিয়েছিল উমর উন নবিকে। সেই সময় থেকেই এই ফোনগুলির থেকে তথ্য বের করাই ছিল তদন্তকারীদের উদ্দেশ্যে।  উমরের সঙ্গে যুক্ত দিল্লি, ফরিদাবাদসহ কয়েকটি জায়গার পাঁচটি মোবাইল নম্বরের মালিক কে ও সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।  কিন্তু ৩০ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে ব্যবহার করা তার দুটি নতুন নম্বর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এগুলিকেই সবচেয়ে বড় মিসিং লিঙ্ক হিসেবে ধরা হচ্ছে।  

তদন্তে জানা গেছে যে উমর তার পুরনো দুটি নম্বর ৩০ অক্টোবর বন্ধ করে দেয়। এই দিনেই তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ড. মুজাম্মিল শকিলকে ধরা হয়েছিল। কর্মকর্তাদের ধারণা, গ্রেফতারের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওমর তার সব পুরনো ট্রেস করার মতো ফোন ফেলে দেয় এবং দুটি নতুন প্রিপেইড নম্বর জাল পরিচয় দিয়ে নেয়। 

Continues below advertisement

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ৯ নভেম্বরের সন্ধ্যার পর কোনো ফুটেজে উমরের হাতে ফোন দেখা যায়নি, তা ফয়জ ইলাহি মসজিদ হোক বা লাল কেল্লার পার্কিং। এতে সন্দেহ করা হচ্ছে যে সে ফোনগুলি হয়তো কাউকে দিয়ে দিয়েছে বা নষ্ট করে দিয়েছে। তদন্তে এও জানা গেছে যে ১০ নভেম্বর দুপুর ২.৩০ মিনিটে উমর তুর্কম্যান গেটের মসজিদে পৌঁছায় এবং ১৫ মিনিট একা ছিল। কর্মচারীরা জানিয়েছে যে সে কারও সঙ্গে কথা বলেনি, কিন্তু পুলিশের ধারণা,  মসজিদ এলাকাতেই  ফোনগুলি কাউকে দেওয়া হয়েছিল। তাই মসজিদে সেই সময় উপস্থিত প্রত্যেক ব্যক্তির তালিকা তৈরি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।     

বিস্ফোরণের জায়গা থেকে পুলিশ দুটি তাজা এবং একটি খালি ৯মিমি কার্তুজ উদ্ধার করেছে। এই গোলা-বারুদ সাধারণত নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে। যদিও ওমরের কাছে অস্ত্র থাকার সরাসরি প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবুও সন্দেহ করা হচ্ছে যে সে কোনো অস্ত্র পথে ফেলে এসেছিল, অথবা এটি অন্য কোনো ব্যক্তির কার্যকলাপ !