কলকাতা: অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)-কে। বেশ কিছুদিন থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন ধর্মেন্দ্র, বারে বারে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছিল তাঁকে। সেই কারণে ধর্মেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, একেবারে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার। সেই কারণে, নিজেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। তবে বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পরে, তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। কিন্তু, অনুরাগীদের চিন্তা দূর করে, সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন। আপাতত বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। অনুরাগীরা প্রার্থনা করছেন তাঁর সম্পূর্ণ সুস্থতার।
রুপোলি পর্দায় ধর্মেন্দ্রকে 'হি-ম্যান' বলে অভিহিত করা হয়। সিনেমার দুনিয়ায় তাঁর অবদান অস্বীকার করতে পারবে না কেউ। কিংবদন্তি এই অভিনেতা 'শোলে' ছবিতে 'বীরু'-র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। 'শোলে' হল সেই সিনেমা, যাকে ভারতের সিনেমা দুনিয়ার অন্যতম সেরা ছবি বলা হয়ে থাকে। ধর্মেন্দ্র আর অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) অভিনয়, এই সিনেমাকে এখনও কিংবদন্তি করে রেখেছে। তবে এই কথা জানেনই না অনেকে যে, প্রথমে এই সিনেমায় বীরু-র চরিত্রে অভিনয় করতে রাজিই ছিলেন না ধর্মেন্দ্র।
পরিচালক রমেশ সিপ্পি (Director Ramesh Sippy) একটি সাক্ষাৎকারে একবার বলেছিলেন, ধর্মেন্দ্রকে যখন 'শোলে'-র চিত্রনাট্য শোনানো হয়েছিল, প্রথমে তা মোটেই পছন্দ হয়নি ধর্মেন্দ্রর। তিনি নাকি চিত্রনাট্য শুনে বলেছিলেন, 'এটা তো ঠাকুরের গল্প, যে গব্বরের সঙ্গে লড়াই করছে। এই গল্পে আমরা কী করব?' ধর্মেন্দ্র নাকি ঠাকুর বা গব্বরের চরিত্র করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন পরিচালক তাঁকে বোঝান, ধর্মেন্দ্র যদি গব্বর বা ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করেন, তাহলে কিন্তু তিনি হেমা মালিনী-কে পাবেন না। তখন সিনেমায় 'বীরু'-র চরিত্র করতে রাজি হয় ধর্মেন্দ্র। সেই ছবির জন্য তিনি ১.৫ লাখ টাকা পেয়েছিলেন সেই সময়ে।
শোনা যায়, এই ছবির জন্য অমিতাভ বচ্চন ও প্রথম পছন্দ ছিলেন না। ওই চরিত্রের জন্য প্রথমে ভাবা হয়েছিল শত্রুঘ্ন সিনহা-কে। একবার, একটি সাক্ষাৎকারে, শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছিলেন, 'শোলে' সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, সেই চরিত্রটি প্রথমে তাঁকে অফার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে একাধিক সিনেমায় অভিনয় করছিলেন তিনি। অনেক চেষ্টা করেও সময় দিয়ে উঠতে পারেননি এই সিনেমার জন্য। সেই কারণে, চরিত্রটি যায় অমিতাভ বচ্চনের কাছে। বাকি ইতিহাস সবাই জানেন। সেই সিনেমা এখনও দর্শকদের মনে রয়ে গিয়েছে।