মুম্বই: কুঅভিসন্ধি নিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও জোগাড় করার অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে দাবি করলেন দিয়া মির্জা। তিনি অভিযোগের পাল্টা আইনি পদক্ষেপ করছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। বলিউডের সঙ্গে মাদক ব্যবসার যোগসাজশের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) বলিউডের অন্যতম শীর্ষ অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশ ও ধ্রুব চিতগোপেকর নামে একটি ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির সিইও-কে তলব করার পর দিয়ার নামও এ ব্যাপারে সামনে এসেছে।


চিতগোপেকর কোয়ান ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির সিইও। করিশ্মা সেখানকার কর্মী।
দিয়া ট্যুইটে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এহেন অভিযোগ তাঁর কেরিয়ারে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়ে লিখেছেন, আমি এই খবর ভিত্তিহীন, মিথ্যা, খারাপ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে সরাসরি খারিজ, অস্বীকার করছি। এমন অসার রিপোর্টিং আমার মান-সম্মানে সরাসরি প্রভাব ফেলবে, বেশ কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমে গড়ে তোলা আমার কেরিয়ারের ক্ষতি করছে। ৩৮ বছর বয়সি ‘সঞ্জু’ অভিনেত্রী কোনও ধরনেরই মাদক খাননি বা জোগাড় করেননি বলেও জানিয়ে দেন। তিনি লিখেছেন, এমন খবরের মোকাবিলা আইনি উপায়েই করবেন। আমি কখনও কোনও ধরনের মাদক বা নেশার সামগ্রী খাইনি। আইনের প্রতি অনুগত ভারতীয় হিসাবে যত দূর আইনি পথ খোলা আছে, তত দূর যাব। আমার পাশে থাকায় সমর্থকদের ধন্যবাদ।



অকালপ্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় মাদকের যোগসাজস নিয়ে এনসিবির তদন্তে বলিউডে মাদক চক্রের বৃহত্তর নেটওয়ার্কের হদিশ মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সোমবার এ ব্যাপারে সুশান্তের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহাকে জেরা করে এনসিবি। সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে মাদক চক্রের হাত বা ভূমিকা কতটা, তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এনসিবি। এপর্যন্ত সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই শৌভিক সহ ১২-র বেশি লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।