মুম্বই: একবার স্থূলকায়, একবার মেদবর্জিত। ‘দঙ্গল’-এ আমির খানের এই দুরকম চেহারার ভিডিওর বাস্তবতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান, সত্যিই কি নিজের পরিশ্রমে এভাবে স্থূলকায় থেকে পেশীবহুল হয়ে ওঠা সম্ভব? তাঁদের প্রশ্ন, পেশাদার কুস্তিগীরের নিখুঁত চেহারা পেতে আমির স্টেরয়েড ব্যবহার করেছেন কিনা।


বিভিন্ন চরিত্রে প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য আমির খান যে কঠোর পরিশ্রম করেন, তা সকলেরই জানা। তাঁর নামই হয়ে গেছে মিস্টার পারফেকশনিস্ট। বছরের শেষে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নয়া ছবি ‘দঙ্গল’। তিনি রয়েছেন মহিলা কুস্তিগীর গীতা ও ববিতা ফোগতের বাবার ভূমিকায়। নিজের ছবি প্রমোশনে সব সময় নতুন কিছু করে থাকেন আমির। ‘দঙ্গল’ উপলক্ষ্যে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে কুস্তিগীরের চেহারা অর্জন করেছেন তিনি। যেভাবে তিনি আখড়ার কুস্তিগীরের স্থূলকায় চেহারা থেকে পেশাদার কুস্তিগীরের পেশীবহুল, মেদবর্জিত চেহারা অর্জন করেছেন, তা অনেককে নতুন ফিটনেস গোল দিয়েছে।

কিন্তু সত্যিই কি এভাবে স্থূলকায় থেকে মেদবর্জিত হওয়া সম্ভব? তাও এত কম সময়ে? সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, এভাবে শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আনা কি স্বাস্থ্যকর? ফিটনেস কোন রণবীর এলাহাবাদিয়া মনে করছেন, স্রেফ নির্দিষ্ট ডায়েট আর নিয়মিত শরীরচর্চার ফলে এত দ্রুত এমন শারীরিক পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। তাহলে কি স্টেরয়েড ব্যবহার করেছেন আমির? সত্যিই যদি তাই হয়, তবে ফিটনেস গোলের জন্য তাঁকে আদর্শ করা যুবসমাজের পক্ষে কোনওভাবেই স্বাস্থ্যকর হবে না।