কলকাতা: তাঁর রানি রাসমণি ইমেজ এখনও দর্শকদের মনে এতটাই জ্বলজ্বলে যে, তাঁর নামের সঙ্গে এই চরিত্রকে সমার্থক ভেবে ফেলেছেন অনেকেই। ইতিমধ্যে একাধিক ছকভাঙা চরিত্রে তিনি অভিনয় করলেও, তাঁকে বার বার তুলনা করা হয় রানি রাসমণির সঙ্গে। শুধু কি চরিত্র? তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও ছাপ ফেলে রানি রাসমণি চরিত্রের ওজন। 


দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)। ছোটপর্দার রানি রাসমণির ইমেজ ভাঙতে এখন বদ্ধপরিকর তিনি। অভিনয় করে চলেছেন বড়পর্দায়। একের পর এক ছকভাঙা চরিত্রে। দর্শকদের কাছে প্রশংসিতও হচ্ছেন। তাঁর অভিনীতি 'রাজনীতি' যথেষ্ট ভালবাসা পেয়েছে দর্শকদের। তবে সদ্য একটি ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ট্রোলিংয়ের মুখে পড়লেন দিতিপ্রিয়া! সাহসী পোশাকে দিতিপ্রিয়াকে দেখে রানি রাসমণির সঙ্গে তাঁকে ফের তুলনা করে বসলেন নেটিজেনরা। আর দিতিপ্রিয়া? নিজের ইমেজ নিয়ে, চরিত্র নিয়ে কী ভাবছেন তিনি? এবিপি লাইভকে (ABP Live)-কে অকপটে মনের কথা বললেন 'রাজনীতি'-র রাশি।


বারংবার, বিভিন্ন বিষয় নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় কদর্য ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছে দিতিপ্রিয়াকে। অভিনেত্রী বলছেন, 'ট্রোলিং নিয়ে আমি আর খুব একটা ভাবি না। তবে এমন নয় যে কখোনোই কিছু যায় আসে না। যে ট্রোলিং মানুষকে আঘাত করে, আমার তাতে আপত্তি রয়েছে। আমরা যে পেশাটার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সবার জীবনেই কম বেশি ট্রোলিং রয়েছে। এই ফটোশ্যুটটা করা আগেই জানতাম, ২ রকম প্রতিক্রিয়া পাব। অনেকে যেমন আমাদের সাধুবাদ দিয়েছেন, বলেছেন দিতিপ্রিয়া নিজের ইমেজ ভেঙে বেরোচ্ছে। আর বাকি, যাদের যা যা বক্তব্য রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমি আর ভাবি না। আমার যেটা মনে হয়েছে, সেটা আমি করেছি। সবার একটাই বক্তব্য যে, রানি রাসমণি হয়েএমন সাহসী ফটোশ্যুট! আমার এখানে একটাই বক্তব্য হয়েছে, মানুষ যখন ছোটপর্দায় আমায় দেখতেন, তখন প্রায় ৫ বছর ধরে আমি রানি রাসমণির ইমেজ বজায় রেখেই চলেছি। এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও। এখন আমি রানি রাসমণি নই, দিতিপ্রিয়া। এখন আমি বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরবই। সেটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কে কি বলল তাতে আমার খুব একটা যায় আসে না। চরিত্রের প্রয়োজনে আমায় অনেক কিছুই করতে হতে পারে। সেটা চরিত্রের জন্য বা চিত্রনাট্যের প্রয়োজন হলে আমি করব।'


এখানেই থামলেন না দিতিপ্রিয়া। বলে চললেন,  'একজন মানুষের পোশাক নিয়ে একমাত্র সেই মানুষটাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কারও সেখানে কিছু বলার থাকতে পারে না। এটা শুধু আমি মনে করি এমনটা নয়, যাঁরা ট্রোলিং করেন, এটা তাঁরাও জানেন। ট্রোলিং তো করা হয় শুধুমাত্র ভিউয়ের জন্য। এই তো কদিন আগেই আমি দেখলাম.. দিতিপ্রিয়া মারা গিয়েছে। অথবা দেখি, কারোও একটা বিয়ে হচ্ছে, সেই ছবিতে আমার মুখটা বসিয়ে দেওয়া হল। এমন ক্লিকবেট বা ছবি  তো সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই দেখি। তাহলে বলতেই যে আমার মুখটা দিয়ে মার্কেটিং করলে লোকজনের সুবিধা হয়। আমি এতে কীভাবে বাধা দেব! তারা যা করছে করুক, আমিও আমার মতো কাজ করে যাব।'