তিনি আরও বলেন, ৭৫ বছর ধরে শ্রোতারা যেভাবে তাঁর গান ভালেবেসেছেন, তাতে তিনি অভিভূত। তাঁর এই সাঙ্গীতিক সফরে তিনি দেখেছেন, বহু শিল্পী হারিয়ে গিয়েছেন কেবলমাত্র অহংকারের কারণে। তাই বরাবর তিনি মাটির কাছাকাছি থাকার, বিনয়ী থাকার চেষ্টা করেছেন। আজ তিনি যা, তাঁকে ঈশ্বরের এবং তাঁর মা-বাবার আশীর্বাদ বলে মনে করেন লতা।
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে লতা বলেন, স্বকীয়তা থাকা জরুরি। তাঁর গান বা তাঁর সতীর্থদের গান গাইলেও সেই গায়কিতে যেন নিজস্বতা থাকে। স্বর্ণযুগের এইসব গানই এখনও মানুষ শুনতে পছন্দ করেন। একটা সময়ের পর এই নবাগত প্রতিভাদের নিজস্ব গানও নিশ্চয়ই জনপ্রিয় হতে শুরু করবে। আশা যদি না নিজস্ব গায়কি রপ্ত করত, তাহলে হয়তো তাঁরও নিজস্বতা তৈরি হত না। লতার ছায়া হয়ে তিনি থাকেননি। আশা হয়ে উঠতে পারেন নবাগতদের কাছে এক বিরাট দৃষ্টান্ত যে, প্রতিভা আর নিজস্ব গায়নশৈলীর জোরে কত দূর যাওয়া যায়।
ইন্দৌরে জন্মগ্রহণ করেন লতা মঙ্গেশকর। ১৯৪২ সালে একটি মরাঠি ছবির জন্য প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি। তাঁর জন্মদিনে সোশ্য়াল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবার্তা দেন আশা ভোঁসলে, কঙ্গনা রানাওয়াত সহ বহু সেলেব্রিটি।