কিন্তু কে এই ‘এস’, ‘আর’ এবং ‘এ’?
এ নিয়ে যখন তুঙ্গে জল্পনা, ঠিক তখনই দৈনিক ভাস্কর নামে একটি হিন্দি দৈনিকের দাবি, তাঁরা হলেন বলিউডের চার তারকা।
শুধু তাই নয়, দৈনিক ভাস্করের দাবি, নামের আদ্যাক্ষর ‘ডি’, বলিউডের এমন আরও এক স্টারও গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে রয়েছেন।
যদিও দৈনিক ভাস্করের এই খবরের কোনও ভিত্তি নেই বলে এনসিবি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
এর আগে রিয়া চক্রবর্তীর ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করতে গিয়ে, ‘ডি’ এবং ‘কে’ নামে দু’জনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট মেলে। তার তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসে দীপিকা পাড়ুকোন এবং তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের নাম। তাঁদের দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনসিবি। এবার ‘এস’, ‘আর’ এবং ‘এ’-র সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে কাদের নাম উঠে আসবে? তাঁদেরও কি সমন পাঠাবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো? সেটাই দেখার।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু সংক্রান্ত মূল মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তারা তদন্তভার নেওয়ার পর প্রায় দু’মাস পার হতে চললেও, তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে, সেবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি সিবিআই। এর মধ্যে বুধবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করে, সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করার জন্য ধন্যবাদ জানান সুশান্তের বাবা কে কে সিংহ। সূত্রের খবর, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, শেষবার বিহারে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন সুশান্ত। কিন্তু, তা হয়ে ওঠেনি।
সুশান্তের সঙ্গে দেখা না হওয়ার জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করে তাঁকে তরুণ প্রজন্মের আইকন বলেন নীতীশ কুমারও।
বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষের সুরে বলছে, এসব স্রেফ সুশান্তের জন্য সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বিহার ভোটের বৈতরণী পেরনোর চেষ্টা। শেষমেশ কি সুশান্ত-মৃত্যুর তদন্ত পরিণতি পাবে? নাকি রাজনীতির ঘূর্ণিতেই তা পথ হারাবে? সেই উত্তর দেবে সময়।