কলকাতা: করোনা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন, গত বছরের পুজোটা মনের মতো কাটেনি তাঁদের। তাই এইবছর এক মাস আগে থেকেই পুজোর পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছিলেন তাঁরা। পছন্দমতো শপিং, ঘোরার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অষ্টমীর মেনু সবকিছুর পরিকল্পনাই পাকা। টলি টাউনের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি তাঁরা। প্রমিতা আর রুদ্রজিৎ (Rudrajit Mukherjee)। পুজোর আগে এবিপি লাইভের সঙ্গে পুজোর খুঁটিনাটি ভাগ করে নিলেন প্রমিতা চক্রবর্তী (Promita Chakraborty) ।


চিরকালই পরিবারকে নিয়ে থাকতে ভালোবাসেন প্রমিতা। আইনি বিয়ের পরেও তাঁর এই স্বভাব বদলায়নি। অভিনেত্রী বলছেন, 'পুজোর শপিং প্রায় শেষ। পুজোর ফটোশ্যুটও সেরে ফেলেছি কিছুটা। আর পরিবারের সবাইকে নিয়ে সময় কাটাব। বাবা-মাকে নিয়ে ঘুরতে বেরব, বাড়িতেও পুজো স্পেশাল রান্নার ব্যবস্থা থাকবে ।'


আরও পড়ুন: Nora Fatehi: আর্থিক তছরুপের মামলায় তলব, কালো হুডি, মাস্কে মুখ ঢেকে ৫ ঘণ্টা দিল্লি পুলিশের কাছে নোরা ফতেহি


পুজোর সাজ নিয়ে কী পরিকল্পনা প্রমিতার ? হাসতে হাসতে প্রমিতা বললেন, 'রুদ্রজিৎ (রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়) সাধারণ জামাকাপড় পরতে ভালোবাসে, মানে জিন্স, টি-শার্ট । কিন্তু পুজোর কয়েকটা দিন ওকে শর্ত দেওয়া আছে । পাঞ্জাবি ছাড়া আর অন্য কিচ্ছু পরা যাবে না । আমিও শাড়ি পরব । আর হ্যাঁ, রঙ মিলিয়ে । অষ্টমীর দিন লাল শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরব । লাল ছাড়া অষ্টমী হয় না । দশমীতেও লালই পরব । আর রুদ্রজিতের জন্য একটা কমলা পাঞ্জাবি পছন্দ করেছিলাম আমি । সঙ্গে সঙ্গে রুদ্রজিৎও আমার জন্য একটা কমলা শাড়ি পছন্দ করল । পুজোর একদিন একসঙ্গে পরব ওই পোশাকটা । পুজোয় রঙমিলান্তি না হলে কি ভালো লাগে ?'


আগের মতো ঠাকুর দেখতে পারেন না রুদ্রজিৎ-প্রমিতা । অভিনেত্রী বললেন, 'প্রতিবছর অষ্টমীর দিনটা বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হত । লুচি, আলুর দম, সুজি.. এই বছরও বাড়িতে তেমন খাবার আয়োজন থাকবে । পুজোর সময় এক্কেবারে ডায়েট নয় । বরং এখন খাওয়া দাওয়া নিয়ে একটু কড়াকড়ি করছি । আমি পুরো রান্নাটা না করলেও ইচ্ছা আছে সাহায্য করার । আর পুজোর মধ্যে একদিন বাবা-মা, শাশুড়িমা সবাইকে নিয়ে একদিন খেতে যাব । আর আমি আর রুদ্র ঘুরবে বেরনোর ইচ্ছা আছে।'


পাশ থেকে রুদ্রজিৎ বললেন, 'আমায় আগে থেকেই হুমকি দিয়ে রেখেছে.. যদি পুরো সময় ভালো ছবি না ওঠে.. আমি শেষ।'