কলকাতা: পুজোয় মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন ছবি। সর্বত্র সাড়াও ফেলেছে। মহানবমীর রাতে সুরুচি সংঘের মণ্ডপে দাঁড়িয়ে তাঁর এক গায়ে কাঁটা দেওয়া অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। পর্দার ভবানী পাঠক।
এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি হিসাবে সুরুচি সংঘের মণ্ডপে ছিলেন অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য। তিনি প্রসেনজিৎকে বলেন, 'গোটা বাংলা জুড়ে দেবী চৌধুরানী হইহই করে চলছে। আমরা যদি হলগুলোতে যাই, নিজেই পরশু দেখেছি, সব হল ভর্তি। পুজোর বাজারে আরও একটা হিট।'
যা শুনে দেবী চৌধুরানীর ভবানি পাঠক বলছেন, ‘বহু বছর কাজ করছি। সুরুচি সংঘে এটা আজ আমার দ্বিতীয়বার আসা। এখন মনে হচ্ছে সকালে একবার এলে ভাল হতো। আমি একটু আগে সেটা এদের বলছিলাম। ইতিহাস নিয়ে এত ভাল একটা কাজ করেছে এরা। বহু বছর পর দেখলাম। আমি অনুরোধ জানাচ্ছি সবাইকে, পুজো তো শেষ হবে, মা চলে যাবেন। এই পুরো কাজটা যদি কোথাও ইনস্টল করা যায়। আমি হাত জোড় করে বলছি। বারবার মনে হচ্ছে, আমার ছেলে, তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের এই ইতিহাস জানা উচিত। মণ্ডপে ইতিহাসের এত পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ রয়েছে, মনে হবে গুগল করে আরও একটু জানি। যেখান থেকে আমি দেবী চৌধুরানীতে আসার চেষ্টা করছি। আজ থেকে দুশো-আড়াইশো বছর আগে ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরানীরা যে লড়াই করেছিলেন... এবং অবশ্যই বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস ।'
এবারের পুজোয় দেবী চৌধুরানীর পাশাপাশি দেব, আবীর চট্টোপাধ্যায়দের মতো অভিনেতাদের সিনেমা রিলিজ করেছে । সুরুচি সংঘের অন্যতম উদ্যোক্তা স্বরূপ বিশ্বাস প্রসেনজিৎকে বলেন, 'তোমার পাশাপাশি তো অনেকগুলো ছবি বেরিয়েছে...' প্রসেনজিৎ তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, 'সবগুলোই আমার ছবি।' বিতর্কে ঢুকতে চাননি প্রসেনজিৎ । স্বরূপ জানতে চান, 'তুমি এত আত্মবিশ্বাসী কীভাবে ?' প্রসেনজিৎ বলেন, 'আমার ছবির অনেক পাবলিসিটি করতে পারিনি । কিন্তু বাঙালি দর্শকদের কাছে বঙ্কিমচন্দ্রকে ফেরাতে পেরেছি। আমি হাত জোড় করে বলছি, আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে, আমি দুটো হলে গিয়েছি । কেউ জানত না যে, আমি গিয়েছি। আমার ছবির শেষ গানটার সময় সবাই বন্দে মাতরম বলছে। আমাকে দেখে সবাই বন্দে মাতরম বলছে । অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা ।' তিনি আরও বলেন, 'আমি সুভাষ বসু করেছি। আমি করে যাব এরকম চরিত্র ও কাজ।'