কলকাতা: প্রেমের গুঞ্জন, তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্টে সর্বসমক্ষে প্রেমের কথা স্বীকার। এরপর গত ৯ মার্চ ধুমধাম করে বিয়ে সারলেন সঙ্গীতশিল্পী দুর্নিবার সাহা (Singer Durnibar Saha) ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জনসংযোগকর্মী ঐন্দ্রিলা ওরফে মোহর সেন (Mohor Sen)। কিন্তু তাঁদের বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই নেটিজেনদের কটাক্ষ। কিন্তু কেন? এবং এই সমস্ত কিছুর উত্তরও দিলেন দুর্নিবার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার দুর্নিবার-মোহর
চলতি মাসের ৯ তারিখ বিয়ে সারলেন দুর্নিবার সাহা ও মোহর সেন। সোশ্যাল মিডিয়া ভরেছে তাঁদের প্রতি শুভেচ্ছাবার্তায়। বিয়ের আসরে হাজির ছিলেন টলিউডে একাধিক তারকা। অতিথি আপ্যায়ন থেকে বিয়ের খুঁটিনাটি, সমস্ত কাজের দায়িত্ব নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সামলেছেন স্বয়ং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। একইদিনে আইনি ও সামাজিক বিয়ে সারলেন তাঁরা। কিন্তু নেট-দুনিয়ায় সমালোচনার ঝড়।
প্রসঙ্গত, এটি দুর্নিবারের দ্বিতীয় বিয়ে। ২০১৭ সালে আইনি বিয়ে সারেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও দুর্নিবার সাহা। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, প্রেমের পর বিয়ে সারেন তাঁরা। এরপর ২০২১ সালে বড় করে সামাজিক বিয়ে সারেন তাঁরা। কিন্তু তার বছর কাটতে না কাটতেই বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যেতে থাকে। এরপর আলাদা হয়ে যান তাঁরা। এরপর ২০২২ সালেই প্রকাশ্যে আসে দুর্নিবারের নতুন সম্পর্কের কথা।
গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খোলেননি মীনাক্ষী। কিন্তু নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে প্রথম থেকেই খোলামেলা ছিলেন ঐন্দ্রিলা ও দুর্নিবার। এই খবর প্রথম প্রকাশ পাওয়ার পরও নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁদের। সেসবের তোয়াক্কা যদিও কখনও করেননি তাঁরা। সমস্ত বিতর্ক পেরিয়ে বিয়েও সারেন। কিন্তু সেখানেও সমালোচনা তাঁদের পিছু ছাড়েনি।
তাঁদের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারেননি পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। তাই নবদম্পতির একটি ছবি পোস্ট করে তিনি শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ জানান সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেও কটাক্ষ শুরু করেন নেটিজেনরা। বিভিন্ন কমেন্টে দুর্নিবার ও মোহরের চরিত্রের বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে, দুর্নিবারের একাধিক বিয়ে নিয়ে কটাক্ষ, সবই চলতে থাকে। ব্যাপারখানা এমনই হয়ে দাঁড়ায় যে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় নিজের পোস্টে নিজেই কমেন্ট করতে বাধ্য হন। তিনি লেখেন, 'আমি বেশ অবাক বেশ কিছু মন্তব্য দেখে! আমি পাত্রকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না। কাজের দৌলতে মোহর পরিচিত । মোহরের তরফেই বিবাহে নিমন্ত্রণ ছিল, যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই সৌজন্যবোধে এই পোস্ট। সত্যি আমি অবগত নই আপনাদের রাগের উৎস নিয়ে! আমার শুভেচ্ছা বার্তা কারোর ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকলে দুঃখিত।' একই অবস্থা সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের পোস্টেও। অনেকেই কটাক্ষ করেন যে ফের নাকি বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: Durnibar Marriage: শাঁখ বাজালেন প্রসেনজিৎ, সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দুর্নিবার-ঐন্দ্রিলা
তবে এই সমস্ত কিছুকে তোয়াক্কা না করেই নতুন জীবন শুরু করলেন মোহর-দুর্নিবার। বিয়ের দিন দুই পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নববধূর সঙ্গে আদুরে একটি ছবি পোস্ট করেছেন দুর্নিবার। লিখেছেন, 'যখন আমরা পৃথিবীর সমস্ত আলোর সঙ্গে আমাদের জীবনকে একসঙ্গে তৈরি করব তখন কিছু অন্ধকারের মতো জিনিস তাদের বোকা মতামতকে ঠেলে দেবেই।'
অর্থাৎ এই সমস্ত কিছু তো হতেই থাকবে, কিন্তু আপাতত নিজেদের জীবন নিজেদের মতো করে সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিতেই মন দিয়েছেন তাঁরা।