কলকাতা: প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার (Samaresh Majumdar passed away)। বেসরকারি হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন সমরেশ মজুমদার। 


চিরঘুমের দেশে 'কালপুরুষ'-র স্রষ্টা


জানা গিয়েছে, বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ অ্যাপেলো হাসপাতালে সাহিত্যিকের জীবনাবসান হয়। গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুনের স্রষ্টা করেছিলেন সমরেশ মজুমদার। ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার পান সমরেশ মজুমদার। ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয় সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস 'দৌড়'। জীবনকালে উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষের মতো একের পর এক কালজয়ী উপন্যাস উপহার দিয়েছেন তিনি। ১৯৮৪ সালে সাহিত্য অ্যাকাদেমি পুরস্কার পান সমরেশ মজুমদার। ২০১৮ সালে সেরা বাঙালির সম্মান দিয়ে তাঁকে সম্মানিত করেছিল এবিপি আনন্দ।


জলপাইগুড়িতে জন্ম সমরেশ মজুমদারের


 ১৯৪৪ সালের ১০ মার্চ, জলপাইগুড়িতে জন্ম সমরেশ মজুমদারের। শিশু-কৈশোর উপন্যাস থেকে বড়দের উপন্যাস। সবেতেই সাবলীল তিনি। গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুনের স্রষ্টা করেছিলেন সমরেশ মজুমদার। উত্তরবঙ্গ তথা জলপাইগুড়িকে তিনি কতটা ভালবাসতেন সেই পরিচয় পাওয়া যায় অর্জুন চরিত্রটাতেও। কিশোর-সাহিত্যের এই গোয়েন্দার চরিত্রের বাড়ি ছিল জলপাইগুড়ি।


উল্লেখযোগ্য উপন্যাস 'উত্তরাধিকার', 'কালবেলা', 'কালপুরুষ'


তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে 'উত্তরাধিকার', 'কালবেলা', 'কালপুরুষ'। 'দেশ' পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া মাত্র সাড়া ফেলে 'উত্তরাধিকার'। ছোটদের জন্য সৃষ্টি করেছেন গোয়েন্দা অর্জুনের মতো চরিত্র শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সে। ছয়ের দশকে কলকাতায় আসেন সমরেশ মজুমদার। উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে 'তেরো পার্বণ', 'গর্ভধারিণী', 'সাতকাহন' ২০১৮ সালে এবিপি আনন্দর 'সেরা বাঙালি' সম্মান পান তিনি। ১৯৮৪ সালে 'কালবেলা' উপন্যাসের জন্য সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন সমরেশ মজুমদার। 


অমর হয়ে থাকবেন সমরেশ মজুমদার


একাধিক উপন্যাসের জন্য অমর হয়ে থাকবেন সমরেশ মজুমদার। সেই তালিকায় রয়েছে উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষের মতো একের পর এক কালজয়ী উপন্যাস। রয়েছে গর্ভধারিণী, সাতকাহন, তেরো পার্বণ। 'দেশ' পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া মাত্র সাড়া ফেলে 'উত্তরাধিকার'। তাঁর উপন্যাস বুনো হাঁসের পালক এবং কালবেলা উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে সিনেমাও। 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


প্রসঙ্গত, একটা সময় ছিল, যখন কাগজ আর ছাপার অক্ষরের গন্ধে দুপুর পার করে গোধূলিবেলায় বই বন্ধ করত বাঙালি। আর হলুদ হয়ে আসা বইয়ের পাতার কালো অক্ষরগুলি কখন জানি, কালপুরুষ, কালবেলার অবয়ব নিত, তা বাঙালি নিজেও জানে না। তবে ডিজিটালাইজেশনের যুগেও বই বিদায় নেয়নি। এখনও বাঙালির ঘরে থরেথরে সাজানো বই। ভূল করেও কেউ তা কাগজওয়ালার কাছে বিক্রি করলেও ওজন করার আগেই ফের ঝুলো ঝেড়ে উঠে আসে টেবিলে। কলেজ স্ট্রিট তো আছেই, পাশাপাশি আজও মানুষ হৃদয়ের দরজা হাট করে খুলে রাখে কলকাতা বইমেলায়।