কলকাতা:  চিরতরে চলে যাবার আগে শেষ ইচ্ছেই কি প্রকাশ করেছিলেন সমরেশ মজুমদার ? আজ সাহিত্যিকের প্রয়াণে মেয়ের জানালেন তাঁর বাবার মনের কথা। মৃত্যুর আগে চকোলেট খেতে চেয়েছিলেন সমরেশ মজুমদার (Samaresh Majumdar)। 


জানা গিয়েছে, বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ অ্যাপেলো হাসপাতালে সাহিত্যিকের জীবনাবসান হয়। তবে হাসপাতালের শেষ মুহূর্তে আর মন টিকছিল না। তবে মনে ছুঁয়ে গিয়েছিল কোনও অনুভূতি ? কোনও না বলা কথা। আজীবনকাল যিনি বাঙালিকে কালবেলা, কালপুরুষের মত একের পর সৃষ্টিতে ভরিয়ে রেখেছিলেন, শেষমুহূর্তে তিনি বাড়িতে ফিরতে চেয়েছিলেন। যেখানে সৃষ্টির মাঝেই শান্তি আছে। কিন্তু ফেরা হল না। মেয়ের কাছে চকোলেট খাবারও আবদার করেছিলেন।  এক সমুদ্র আফসোস মেয়ে বললেন, 'বাবা চকোলেট খেতে চেয়েছিলেন, নিয়েও এসেছিলাম, কিন্তু কী আর করা যাবে।' ততক্ষণে সবশেষ।সে ইচ্ছে হয়তো রয়ে গেল, দিনের আলোর গভীরে, রাতের তারায়। 


গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুনের স্রষ্টা করেছিলেন সমরেশ মজুমদার। ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার পান সমরেশ মজুমদার। ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয় সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস 'দৌড়'। জীবনকালে উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষের মতো একের পর এক কালজয়ী উপন্যাস উপহার দিয়েছেন তিনি। ১৯৮৪ সালে সাহিত্য অ্যাকাদেমি পুরস্কার পান সমরেশ মজুমদার। ২০১৮ সালে সেরা বাঙালির সম্মান দিয়ে তাঁকে সম্মানিত করেছিল এবিপি আনন্দ।


 ১৯৪৪ সালের ১০ মার্চ, জলপাইগুড়িতে জন্ম সমরেশ মজুমদারের। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে 'উত্তরাধিকার', 'কালবেলা', 'কালপুরুষ'। 'দেশ' পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া মাত্র সাড়া ফেলে 'উত্তরাধিকার'। ছোটদের জন্য সৃষ্টি করেছেন গোয়েন্দা অর্জুনের মতো চরিত্র
শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সে। ছয়ের দশকে কলকাতায় আসেন সমরেশ মজুমদার। উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে 'তেরো পার্বণ', 'গর্ভধারিণী', 'সাতকাহন'
২০১৮ সালে এবিপি আনন্দর 'সেরা বাঙালি' সম্মান পান তিনি।


১৯৮৪ সালে 'কালবেলা' উপন্যাসের জন্য সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন সমরেশ মজুমদার। মূলত, গত কয়েকবছরে একদিকে সাহিত্যিক অন্যদিকে থিয়েটারের অন্যতম কুশিলবরা চিরবিদায় নিচ্ছেন। আর এবার ফের নক্ষত্র পতন। স্বাভাবিকভাবেই সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া সারা বাংলায়।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


 ১৯৪৪ সালের ১০ মার্চ, জলপাইগুড়িতে জন্ম সমরেশ মজুমদারের। শিশু-কৈশোর উপন্যাস থেকে বড়দের উপন্যাস। সবেতেই সাবলীল তিনি। গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুনের স্রষ্টা করেছিলেন সমরেশ মজুমদার। উত্তরবঙ্গ তথা জলপাইগুড়িকে তিনি কতটা ভালবাসতেন সেই পরিচয় পাওয়া যায় অর্জুন চরিত্রটাতেও। কিশোর-সাহিত্যের এই গোয়েন্দার চরিত্রের বাড়ি ছিল জলপাইগুড়ি।