কলকাতা: আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ছাড়া এক মুহূর্তও চলা দায়। প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। তা কোনও ছবির ক্ষেত্রেই হোক, বা কোনও তারকার নিজস্ব প্রচারই হোক। তারকা, প্রযোজনা সংস্থা তো বটেই, সাধারণ মানুষও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের জীবনের প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট শেয়ার করতে বেশ পছন্দ করেন। শুধু নিজেদের কাজই নয়, নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের টুকরো মুহূর্তও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন তারকারা। আর সেসব দেখতে মুখিয়ে থাকেন অনুরাগীরা। টলিউড (Tollywood) থেকে বলিউড (Bollywood)... প্রায় প্রত্যেক তারকাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণভাবে সক্রিয়। আমরা প্রতিদিন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করব সেই সব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে, যা নজর কাড়ল আলাদাভাবে। সে প্রচারই হোক বা নিছক আলসে মুহূর্ত.. টলিউড থেকে বলিউড, আমরা প্রতিদিন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করব, বিনোদন দুনিয়ার সোশ্যালের সেরা খবরগুলোকে।


বিবাহবার্ষিকীতে ফের সাত জন্মের অঙ্গীকার ধর্মেন্দ্র-হেমার


নয় নয় করে চার দশকের বেশি বয়স হয়ে গিয়েছে দাম্পত্যের। ৯০-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে একজন, অন্য জন ৮০ ছুঁইছুঁই। তবে পরস্পরের প্রতি অনুভূতি আজও সবুজ। তাই ৪৪তম বিবাহবার্ষিকীতে ফের একবার বিয়ে সারলেন বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্র এবং সাংসদ তথা অভিনেত্রী হেমা মালিনী। মালাবদলের পরের মুহূর্তের ছবি নিজেই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন হেমা। তাঁদের বিয়েতে মেয়ে এষা দেওলকে দেখা গেলেও, সানি বা ববিকে দেখা যায়নি। তাঁরা বিয়েতে যাননি বলেই খবর। (armendra-Hema Malini) বিবাহবার্ষিকীর ওই বিশেষ মুহূর্ত নিজেই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন হেমা। ছবি পোস্ট করেছেন এষাও। কেক কেটে বিবাহবার্ষিকী উদযাপনের পরিবর্তে তাঁরা বাড়িতে আবারও বিয়ে সারেন বলে জানা গিয়েছে। ছবিতেও ধর্মেন্দ্র এবং হেমার গলায় পেল্লাই আকারের মালা চোখে পড়েছে। তবে প্রথম বারের মতোই, এবারও ধর্মেন্দ্রর পরিবারের তরফে কেউ এই বিয়ের অনুষ্ঠানে শামিল হননি বলে জানা গিয়েছে। (Bollywood News) ১৯৭০ সালে ‘তু হাসিন ম্যাঁয় জওয়ান’ ছবির সেটে আলাপ ধর্মেন্দ্র এবং হেমার। ছবির শ্যুটিং চলাকালীনই মন দেওয়া নেওয়া হয়। এক সাক্ষাৎকারে হেমা জানান, প্রথম দেখাতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে গোটা জীবন কাটাবেন তিনি। তবে সম্পর্ক সহজে গড়ে উঠলেও, বিয়ে পর্যন্ত এগোতে কম ঝড়-ঝাপ্টা পোহাতে হয়নি তাঁদের।






পরিণীতি চোপড়ার দূরদর্শনের পোস্ট ভাইরাল


একটি ভিডিও এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে পোস্ট করেন পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra)। ক্যাপশনে লেখেন, 'আমার আসল ডেবিউ' ('My real debut')। সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে দূরদর্শনের একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানের অংশ। যেখানে কিশোরী পরিণীতি গান গাইছেন আরও একদল ছেলেমেয়ের সঙ্গে। মুখের আদল এক্কেবারে একই। আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'স্টার রেট্রোটিভি'র তরফে দাবি করা হয়েছে ভিডিও ফুটেজটি দূরদর্শন চণ্ডীগড়ের যা টেলিকাস্ট হয়েছিল ২০০৪ সালে। হিসেব বলছে সেই সময় পরিণীতির বয়স ছিল মাত্র ১৫। দেশাত্মবোধক গানে গলা মেলাতে শোনা যায় তাঁকে ভিডিওয়। পরনে সালোয়ার কামিজ। ভিডিও দেখে যে কেউ এক ধাক্কায় অনেকটা পিছনে চলে যাবে। নস্ট্যালজিয়ায় ভাসবে। পরিণীতির এই পুরনো ভিডিও দেখে অনেক অনুরাগীরই অবাক প্রশ্ন, কীভাবে এত বছরে একটুও বদলাননি অভিনেত্রী। যেমন ছিলেন প্রায় ২০ বছর আগে, এখনও তাইই আছেন। পরিণীতি চোপড়ার গানের গলা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সকলেই জানেন তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি গানও গান দারুণ। কিছুদিন আগে মুম্বইয়ে প্রথম গানের শো করেন অভিনেত্রী। বলা চলে তাঁর গানের ডেবিউ শো। তবে এদিন ভিডিও পোস্ট করে অভিনেত্রী যেন বোঝালেন তাঁর 'আসল ডেবিউ' হয়ে গিয়েছিল আগেই, দূরদর্শনে। অভিনেত্রীর এই ভিডিও মন ভরিয়েছে সকলের।


আরও পড়ুন: Top Entertainment News Today: ফের 'কৃশ' রূপে ফিরছেন হৃত্বিক, গুরুতর অসুস্থ নিক জোনাস, বিনোদনের সারাদিন






আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।