কলকাতা: আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ছাড়া এক মুহূর্তও চলা দায়। প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া। তা কোনও ছবির ক্ষেত্রেই হোক, বা কোনও তারকার নিজস্ব প্রচারই হোক। তারকা, প্রযোজনা সংস্থা তো বটেই, সাধারণ মানুষও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের জীবনের প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট শেয়ার করতে বেশ পছন্দ করেন। শুধু নিজেদের কাজই নয়, নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের টুকরো মুহূর্তও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন তারকারা। আর সেসব দেখতে মুখিয়ে থাকেন অনুরাগীরা। টলিউড (Tollywood) থেকে বলিউড (Bollywood)... প্রায় প্রত্যেক তারকাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণভাবে সক্রিয়। আমরা প্রতিদিন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করব সেই সব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে, যা নজর কাড়ল আলাদাভাবে। সে প্রচারই হোক বা নিছক আলসে মুহূর্ত.. টলিউড থেকে বলিউড, আমরা প্রতিদিন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করব, বিনোদন দুনিয়ার সোশ্যালের সেরা খবরগুলোকে।


সেলফি তুলতে চাওয়ায় অনুরাগীকে 'চড়' নানা পটেকরের


কয়েক বছর আগে যখন দেশজুড়ে উঠেছিল 'মি টু' ঝড়, তখন গুরুতর অভিযোগ ওঠে বলিউডের তারকা অভিনেতা নানা পটেকরের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত 'দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার' ছবির হাত ধরে ফিরেছেন বড়পর্দায়। কিন্তু আবারও তিনি শিরোনামে, বিতর্কে জড়িয়েই। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে শ্যুটিংয়ের মাঝে এক অনুরাগী এসেছেন অভিনেতার সঙ্গে সেলফি তুলতে। কিন্তু তাতে বেজায় বিরক্ত অভিনেতা, দিলেন অনুরাগীর মাথার পিছনে এক সপাট চড়। ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল এখন সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রসঙ্গত, পরিচালক অনিল শর্মার ছবি 'জার্নি'র শ্যুটিং সারছিলেন তিনি। সপ্তাহ খানেক আগে সেই পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা। মাথায় 'কাউবয়' একটা হ্যাট আর গায়ে জ্যাকেট। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটে শ্যুটিং সারছিলেন, সেই সময়ই ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক অনুরাগী বেশি কাছে চলে আসেন অভিনেতার। এমন কীর্তি একেবারেই বরদাস্ত করতে চাননি অভিনেতা। ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, 'ফিল্ম শ্যুটিংয়ের মাঝে সেলফি নিতে পৌঁছলে ফ্যানকে থাপ্পড় মারলেন নানা পটেকর। এ কেমন অহঙ্কার যা শুধু গরিবদের ওপরই বের হয়? লজ্জাজনক ঘটনা।' ভিডিওয় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ওই অনুরাগীকে মাথার পিছনে থাপ্পড় দিয়ে সেই স্থান থেকে সরিয়ে দিলেন অভিনেতা। তারপর টিমের বাকি লোকজন ভিড় সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। 






ম্যাথিউ পেরিকে খোলা চিঠি জেনিফার অ্যানিস্টনের


দীর্ঘ ১০টি সিজন ধরে চলা বিশ্ববিখ্যাত টেলিভিশন সিরিজ 'ফ্রেন্ডস'। ২০০৪ সালে শেষ হয়ে যাওয়া সিরিজের খ্যাতি আজও এতটুকু কমেনি। ৬ বন্ধুর এক শহরে একসঙ্গে থেকে জীবনের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এগিয়ে চলার গল্প। একসঙ্গে রীতিমতো বড় হয়ে ওঠার গল্প। তাঁদের সঙ্গে দর্শকও যেন বড় হয়ে যান খানিকটা। কিন্তু গত ২৮ অক্টোবর সেই ছয়জনের বন্ধুদলে ছেদ পড়ে, হঠাৎই, সকলের অজান্তে। বাড়িরই হট টাব থেকে উদ্ধার হয় অন্যতম 'ফ্রেন্ড' চ্যান্ডলার বিং ওরফে ম্যাথু পেরির দেহ। যতক্ষণে খোঁজ মেলে ততক্ষণে সব শেষ। ঘটনার আকস্মিকতায় বাক্য হারান সকলেই। শেষবারের মতো পাঁচ বন্ধু এক হন অভিনেতার শেষকৃত্যে, ঠিক যে স্টুডিওয় ১০টা সিজন সম্পন্ন কালজয়ী সিরিজের শ্যুট করেছিলেন, তার উল্টোদিকে। তারপরেও কেটে গিয়েছে বেশ কিছুদিন। শোক খানিক সামলে উঠে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয় ম্যাটিকে চিঠি লিখলেন পর্দার চনমনে রেচেল গ্রিন। 'এই ক্ষত অনেকটা গভীর... আমাদের ম্যাটিকে বিদায় জানানো একরাশ আবেগের ঢেউ নিয়ে এসেছিল যা আমি আগে কখনও অনুভব করিনি। জীবনের কোনও না কোনও পর্যায়ে আমরা সকলেই কিছু না কিছু হারাই। জীবনহানি, বা ভালবাসার চলে যাওয়া। সেই দুঃখে চেপে বসতে পারলে সত্যি কাউকে কেন এত ভালবেসেছিলে সেই আনন্দের মুহূর্তগুলো অনুভব করা যায়। এবং ওঁকে আমরা প্রচণ্ড ভালবেসেছি। আমাদের ডিএনএ-র অংশ ছিল ও। আমরা সবসময়েই ছয় জনের দল ছিলাম। আমরা যেন ঈশ্বর বেছে নেওয়া পরিবার ছিলাম যা চিরকালের জন্য আমাদের জীবনের পথ বদলে দেয় ও আমরা কী হব ভবিষ্যতে তা বদলে দেয়। ম্যাটির ক্ষেত্রে, ও জানত যে ও মানুষকে হাসাতে ভালবাসে। ও নিজেই যেমন বলত, যে ও যদি 'হাসি' শুনতে না পায় তাহলে ওর মনে হত ও মারাই যাবে। ওর জীবন আক্ষরিক অর্থেই এটার ওপর নির্ভরশীল ছিল। আর তাতে শেষ পর্যন্ত ও সফলও থেকেছে। আমাদের সক্কলকে প্রবলভাবে হাসিয়ে গিয়েছে।'


আরও পড়ুন: Top Entertainment News Today: কুণাল ঘোষের উপন্যাস থেকে ওয়েব সিরিজ, বক্স অফিসে দুর্দান্ত ব্যবসা 'টাইগার ৩' ছবির, বিনোদনের সারাদিন






আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial